শচীনকেও রাগতে দেখেছি কিন্তু ধোনিকে দেখিনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়েও দেখাচ্ছেন ভেলকি। ছবি: এএফপি
মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়েও দেখাচ্ছেন ভেলকি। ছবি: এএফপি
>

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে দুর্দান্ত ভূমিকা রেখেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর তাই শিষ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ রবি শাস্ত্রী

উইকেটের অন্য প্রান্তে মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকা মানেই ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যায়। তখন দুটো মাথা নিয়ে খেলা যায়। একটা নিজের, অন্যটা ধোনির। যা সব সময় দারুণ সুবিধার ব্যাপার। কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর এমন কথা বলেছেন কেদার যাদব। চতুর্থ উইকেটে ধোনি-যাদবের অবিচ্ছিন্ন ১২১ রানের জুটিতে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও জিতেছে ভারত। অথচ ধোনি-যাদবের জুটিতে একটি উইকেট পড়লেই চাপে পড়ে যেত বিরাট কোহলির দল। কিন্তু ধোনির ঠান্ডা মাথা চাপ কাটিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে ভারতের। হেড কোচ রবি শাস্ত্রী তাই দলের এ সিনিয়র খেলোয়াড়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

সেটি না হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রতি ম্যাচেই রান পেয়েছেন ধোনি। কাল তো চাপের মধ্যে খেলেছেন অপরাজিত ৮৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। এত বছর ধরে দলকে ঠিক এভাবেই সেবা দিয়ে আসছেন ৩৭ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক। শাস্ত্রীর চোখে তাই তাঁর শিষ্যের কোনো বিকল্প হয় না। ভারতের এই কোচ বলেন, ‘এটি সম্ভব না। এমন ক্রিকেটার ৩০-৪০ বছরে একবারই আসে। সে চলে গেলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা পূরণ করা খুব কঠিন।’

রান তাড়া করতে নেমে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করাটা ধোনির সবচেয়ে বড় গুণ। প্রতিপক্ষ যেমন কিংবা যাই হোক না কেন নির্বিকারভাবে নিজের কাজটা করতে জানেন ধোনি। শাস্ত্রী তাঁর শিষ্যের এই গুণে এতটাই মুগ্ধ যে তুলনা করেছেন শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গেও। সেটি মেজাজ ধরে রাখার ক্ষেত্রে। শাস্ত্রী বলেন, ‘সে (ধোনি) কিংবদন্তি। কাউকে কখনো এত শান্ত থাকতে দেখিনি। শচীনকেও অনেকবার রাগতে দেখেছি। কিন্তু তাঁকে কখনো দেখিনি। সে শূন্য কিংবা এক শ করুক, বিশ্বকাপ জিতুক, কিংবা প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ুক—সব সময় একই মানুষই থাকবে। এটা কীভাবে সম্ভব তা ভেবে বিস্মিত হই।’