ল্যাঙ্গার-কামিন্স ; তখন সুদিন
ল্যাঙ্গার-কামিন্স ; তখন সুদিন

ল্যাঙ্গারের পদত্যাগে কামিন্সের দায় দেখছেন জনসন

জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে তোলপাড় চলছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। বিশেষ করে দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সর্বশেষ এ আলোচনায় নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন। ল্যাঙ্গারের এভাবে চলে যাওয়ায় দলটির টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ধুয়ে দিয়েছেন জনসন।


অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ‘পরীক্ষা’য় কামিন্স পুরোপুরি ব্যর্থ বলে মনে করেন জনসন। অস্ট্রেলিয়া দলকে একের পর এক সাফল্য এনে দেওয়া ল্যাঙ্গারকে চুক্তি ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ল্যাঙ্গার এ প্রস্তাব গ্রহণ না করে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটাররা ‘নীরব’ থাকার ভূমিকা নিয়েছেন। তবে ল্যাঙ্গারের সাবেক সতীর্থরা তাঁকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

মিচেল জনসন

জনসন ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় তাঁর লেখা কলামে সমালোচনা করেছেন কামিন্সের, ‘এই গ্রীষ্মে প্যাট কামিন্স যখন শীর্ষ দায়িত্ব (নেতৃত্ব) পেল, তাকে অনেকেই ক্রিকেটের সন্ত বানিয়ে দিল।’ এটুকু লেখার পর জনসন প্রথমে কামিন্সের মাঠের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন, ‘অ্যাশেজে কামিন্স বল হাতে ভালো করলেও অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পরীক্ষাটায় সে বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’


জনসন এরপর তাঁর কলামে যোগ করেন, ‘ল্যাঙ্গারের চুক্তি বৃদ্ধিতে তার ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল। সুযোগটি সে কাজে লাগায়নি। তার মানে তো একটাই—সে চায়নি এমনটা হোক।’

জাস্টিন ল্যাঙ্গার

১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল—এই ১৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০৫টি টেস্ট খেলেছেন ল্যাঙ্গার। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ হয়েছেন ২০১৮ সালে। ল্যাঙ্গার এমন একটা সময়ে অস্ট্রেলিয়া দলের কোচের দায়িত্ব নেন, যখন বল টেম্পারিং বিতর্কে দেশটির ক্রিকেট টালমাটাল।


কঠিন এ সময়ে দায়িত্ব নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলকে আবার নতুন করে সাজিয়েছেন ল্যাঙ্গার। দলটিকে প্রথমবারের মতো জিতিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা।

আর কদিন আগে তো ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ জিতিয়েছেন ৪-০ ব্যবধানে।


এরপরও ল্যাঙ্গারের চলে যাওয়াটা যেন মানতেই পারছেন না জনসন। তিনি তাঁর কলামে এর দায় দিয়েছেন কামিন্সকেই, ‘তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারগুলো দেখলেই স্পষ্ট হয় যে সে ব্যক্তিত্বহীন। কোচের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধই ছিল না সেগুলোয়।’