>ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন লিটন। মাংসপেশিতে টান লাগায় বাংলাদেশ ওপেনারকে ফিরে যেতে হয়েছে ১২৬ রান করে।
হঠাৎ বাউন্ডারি আসা বন্ধ হয়ে গেল লিটন দাসের কাছ থেকে। সেঞ্চুরির হাতছানিতে বাংলাদেশ ওপেনার এগোচ্ছিলেন এক-দুই রান নিয়ে। অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানেরও একই অবস্থা—হঠাৎ বাউন্ডারি বের করা যেন কঠিনই হয়ে গেল বাংলাদেশের। ২৫.৩ ওভারের পর একটা বাউন্ডারি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হলো ৪৫ বল। সেটি এল লিটনের ব্যাট থেকেই।
বাউন্ডারির অপেক্ষাই শুধু ঘোঁচেনি, সেঞ্চুরির অপেক্ষাও ঘুঁচেছে লিটনের। ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালের পর দেড় বছর পর দেখা পেলেন তিন অঙ্কের। আরও এক অপেক্ষার অবসান লিটনের মাধ্যমে—সিলেটে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। লিটনের অপরাজিত ১২৬ এখন এই মাঠের সর্বোচ্চ। লিটনের ক্যারিয়ারেও সেরা।
উদ্বোধনী জুটিতে তাঁর সঙ্গী তামিম ইকবাল যেখানে ধুঁকেছেন, ইনিংসের শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী সব শটে মুগ্ধ করেছেন লিটন। শুরু থেকে স্ট্রাইক রেট রেখেছেন ১০০-এর ওপরে। ৪৫ বলে পেয়েছেন ফিফটি। ৭৩ রানে পৌঁছানোর পর হঠাৎ বাউন্ডারি বন্ধ হয়ে গেল লিটনের ব্যাট থেকে। বাউন্ডারি মারতে পারেননি টানা ৩১ বল। তবু তাঁর স্ট্রাইক রেট কখনো ১০০-এর নিচে নামেনি। এ সময় লিটন এগিয়েছেন এক-দুই করে। লিটন বেশির ভাগ সিঙ্গেলস কিংবা ডাবলস বের করেছেন অনসাইডে। ৮০ শতাংশ বাউন্ডারি এসেছে অফসাইডে।
লিটনের উইকেটে থাকা মানেই দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের নিশ্চয়তা। ২০১৯ বিশ্বকাপে টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৪ রান এখনো যেন চোখে লেগে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিশ্বকাপের পর জুলাইয়ে বিয়ের জন্য যাওয়া হয়নি শ্রীলঙ্কা সফরে। লম্বা বিরতিতে ওয়ানডেতে ফিরেই করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ১০৫ বলে ১২০ স্ট্রাইক রেটে ১৩ চার আর দুই ছক্কায় অপরাজিত ১২৬ রানে লিটন যেন বোঝালেন, ওপেনারদের এভাবেই খেলতে হয়।
ইনিংসটা আরও বড় হতে পারত, মাংসপেশিতে টান পড়ায় ১২৬ রানেই ফিজিওর সঙ্গে ফিরে যেতে হলো ড্রেসিংরুমে। কী মিল, ওয়ানডেতে প্রথম যে সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে (২০১৮ এশিয়া কাপ), সেদিনও মাংসপেশিতে টান লেগেছিল লিটনের!