বছরের শেষে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর করার কথা। করোনাভাইরাসের কারণে সিরিজের ম্যাচ গুলো ফাঁকা স্টেডিয়ামে হতে পারে। কোহলি ফাঁকা স্টেডিয়ামে কেমন করে দেখতে চান নাথান লায়ন।
করোনাভাইরাসের কারণে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্ম যখন প্রায় শেষের পথে, তখনই করোনাভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট বন্ধ হয়েছে। আগামী গ্রীষ্মের আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খুব বেশি আন্তর্জাতিক সিরিজও ছিল না। জুনে বাংলাদেশের মাটিতে খেলার কথা ছিল দুটি টেস্ট।
এরপর আগামী নভেম্বরে ভারতীয় দলে অস্ট্রেলিয়া সফরে আসার কথা। বাংলাদেশ সিরিজ করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হলেও নভেম্বরে ভারতকে ঘরের মাঠে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অস্ট্রেলীয় অফ স্পিনার নাথান লায়ন। আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সে লায়ন ভারত সিরিজ নিয়ে নিজের রোমাঞ্চের কথা জানান, ‘আমি এখনো চিন্তাই করিনি এসব নিয়ে। ভারত আসবে আগামী গ্রীষ্মে, এটা নিয়েই আমি রোমাঞ্চিত। অ্যাশেজের সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। ওরা এখন বিশ্ব ক্রিকেটের ‘পাওয়ার হাউস’। ওদের বিপক্ষে সিরিজটি দারুণ হবে।’
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সিরিজটি দর্শক-শূন্য মাঠে আয়োজনের সম্ভাবনা আছে। লায়ন অবশ্য এত কিছু ভাবছেন না। ভারতকে হারিয়ে ২০১৮-১৯ গ্রীষ্মের সিরিজ হারের প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘দর্শক ভরা মাঠে খেলা হোক আর দর্শক ভর্তি মাঠে খেলা হোক, দুটিই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখন পর্যন্ত এসব নিয়ে চিন্তা করিনি। ভারতের সঙ্গে খেলা এটাই ভাবছি। গতবার ওরা আমাদের হারিয়েছে। গতবার থেকে এবারের অস্ট্রেলিয়া দলটা শক্তিশালী। আমি শুধু ঘরের মাঠের ভারতের বিপক্ষে খেলা নিয়ে রোমাঞ্চিত।’
দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে যদি খেলা হয়েও থাকে, তবে ফাঁকা স্টেডিয়ামে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি কেমন করেন, সেটিই দেখার অপেক্ষায় আছেন লায়ন, ‘কোহলি যে কোন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত। মজার বিষয় হচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়ে আমি সেদিন মিচেল স্টার্কের সঙ্গে কথা বলছিলাম, যদি আমরা শেষ পর্যন্ত ফাঁকা স্টেডিয়ামেই খেলি, তাহলে ফাঁকা মাঠে কোহলি কী করে দেখতে হবে। তবে সে যে কোন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।’