কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, তুমি বাপু সাদা বলের ক্রিকেট নিয়েই থাক। লাল বলের চিন্তা বাদ দাও। কোচের জায়গা থেকে ডমিঙ্গো কথাটা বলেছেন। কিন্তু ৫০তম টেস্ট থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে থাকা মাহমুদউল্লাহও অনড় তাঁর জায়গায়। লাল বলের চিন্তা বাদ দেননি তিনি।
প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজ প্রসঙ্গটি উঠতেই মাহমুদউল্লাহ হেসে বলেছেন, 'লাল বলের চিন্তা আমি বাদ দিইনি। বাদ দিলে তো ঘোষণাই করে দিতাম। আমি বিশ্বাস করি আমার এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে। সেটা লাল বলেই হোক বা সাদা বলে।'
কিন্তু যাঁর ক্যারিয়ারের দিগন্ত এখনও দৃষ্টিসীমায় নেই, কোচের কাছ থেকে তাঁর এমন উপদেশ পাওয়া কতটা হতাশাজনক? মাহমুদউল্লাহ আবার হাসলেন, তবে এবার এড়িয়ে যাওয়ার হাসি, 'এ নিয়ে কিছু না বলাই ভালো আসলে...।'
টেস্ট ক্রিকেট আপাতত মাহমুদউল্লার বিষয় নয়। তবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে খবরদারিটা তাঁরই থাকার কথা বেশি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না হলে ২০২০ হতো বাংলাদেশের জন্য টি-টোয়েন্টিরই বছর। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে আয়ারল্যান্ডে খেলার কথা ছিল একটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপটাও হতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও। কিন্তু এক করোনা মহামারীতে সবই এখন অনিশ্চয়তার সমুদ্রে ভাসছে। কিছু তো স্থগিতই হয়ে গেছে।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যই বড় ক্ষতি মনে করছেন এটাকে, 'বিশ্বকাপের আগে আমরা তিন-চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতাম। প্রতিটি সিরিজই চ্যালেঞ্জিং হতো। আমি চাচ্ছিলাম প্রতিটি সিরিজ যেন আমরা জিতি। বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য জয় দরকার ছিল। এখন সেই সুযোগ নেই।'
তবে মাঠে যখনই খেলা ফিরুক আর যখনই হোক টি-টোয়েন্টি, নিজ দলের খেলোয়াড়দের জন্য ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ অধিনায়কের বার্তা সেই পুরোনোই - সবাই মন খুলে খেল। 'টি-টোয়েন্টিতে আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি, আপনাকে এখানে পারফর্ম করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। মন খুলে খেলার যে স্বাধীনতাটা প্রয়োজন, সেটা থাকতে হবে। আপনি পারফর্ম করেন বা না করেন, ওই স্বাধীনতা নিয়ে আপনাকে সবসময় খেলতে হবে' - সাক্ষাৎকারে বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
মন খুলে খেলতে গিয়ে যদি একজন ক্রিকেটার ব্যর্থও হন, তাঁর পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, 'একজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সংকোচ কাজ করতে পারে। মারব কী মারব না...। শুন্য রানে আউট হলে পরের ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবো তো! এখানেই একজন খেলোয়াড়ের অধিনায়কের প্রতি আস্থা থাকাটা জরুরী। একজন খেলোয়াড় যদি জানে তার ওপর অধিনায়কের, ম্যানেজমেন্টের আস্থা আছে, তাহলে সে শতভাগের বেশি দেবে।'
* করোনাকালের পরের ক্রিকেট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর পুরো সাক্ষাৎকারটি পড়ুন কাল প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকার খেলার পাতায়।