পাঁচ বছর পর ব্রাভোর সেঞ্চুরি।
পাঁচ বছর পর ব্রাভোর সেঞ্চুরি।

লারার ‘ক্লোন’ সেঞ্চুরি পেলেন পাঁচ বছর পর

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিছুতেই ওয়ানডে জিততে পারছে না শ্রীলঙ্কা। অ্যান্টিগায় কাল ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও হেরেছে শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলেছিল সফরকারী দল। তাড়া করতে নেমে ড্যারেন ব্রাভোর সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ওয়ানডেতে এ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টানা ৬ ম্যাচ হারল শ্রীলঙ্কা। শুধু ম্যাচ হার-ই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো দিমুথ করুণারত্নের দল। ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলেও তলানিতে রইল শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচ খেলে ৩ হারে এখনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি তারা।

১০ ওভারের মধ্যে এভিন লুইস ও জেসন মোহাম্মদকে হারিয়ে একটু চাপেই পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে শাই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভোর ১৩২ বলে ১০৯ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে কাইরন পোলার্ডের দল। পরে পোলার্ডের সঙ্গেও পঞ্চম উইকেটে ৭১ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন ব্রাভো। ১৩২ বলে ১০২ রান করে ব্রাভো যখন আউট হন, তখন ২৩ বলে ২৬ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই পথটুকু পাড়ি দেন পোলার্ড ও জেসন হোল্ডার। ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ইনিংসটি সাজান ব্রাভো। ৪২ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পোলার্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩–০–তে হোয়াইট ওয়াশ হলো শ্রীলঙ্কা।

আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার আগের দুই ম্যাচের মতোই ভুগেছে। কেউ বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। আটে নামা হাসারঙ্গা ডি সিলভার ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ বলে ৮০ রানের ইনিংস। ছয়ে নামা বান্দারা করেন ৭৪ বলে ৫৫ রান। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউ চল্লিশের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। বান্দারা ও হাসারঙ্গা সপ্তম উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রায় পাঁচ বছর পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করলেন ব্রাভো। কালকের আগে তিনি সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৬ সালের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্রিজটাউনে। তাঁর সঙ্গে জুটিতে অন্য প্রান্তে টানা ষষ্ঠ ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন শাই হোপ। ওয়ানডেতে টানা ৯ ফিফটির রেকর্ড পাকিস্তানের কিংবদন্তি জাভেদ মিঁয়াদাদের।