পাঁচটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দল। কিন্তু লকডাউনের কারণে ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সিরিজের শেষ ম্যাচটি না খেলেই দেশে ফিরতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের।
বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম জানিয়েছেন, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সম্মতিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম চার ম্যাচের মতো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই শেষ ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ১৩ এপ্রিল।
মুঠোফোনে শফিউল আলম বলেছেন, ‘লকডাউনের কারণে শেষ ওয়ানডে ম্যাচটা হবে না। ওরা আগামীকাল ঢাকা যাবে, এরপর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। লকডাউনের সময় কোনো ফ্লাইটও থাকবে না। এ কারণেই একটা ম্যাচ হাতে রেখে ওরা চলে যাচ্ছে। দুই বোর্ডের সম্মতিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
করোনার মধ্যেও যে সিরিজের চারটি ম্যাচ আয়োজন করা গেছে, সেটিকেই বড় অর্জন মনে করছেন নারী বিভাগের প্রধান।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও প্রোটিয়া মেয়েদের হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল। টানা চারটি ম্যাচেই সফরকারীদের হারালেন স্বাগতিকেরা। আজ সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
উইকেটকিপার–ব্যাটার নিগারের অপরাজিত ১০১ রানের সৌজন্যে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে করে ২৩৬ রান। জবাবে ১২৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ইনিংস। ১১০ রানের বড় জয়ে সিরিজ শেষ করেন স্বাগতিকেরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ৩ নম্বরে নেমে ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়েন নিগার। ৪১ রান করে আউট হন মুর্শিদা। তবে নিগার থামেন সেঞ্চুরি করেই। ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ১৩২ বলের ইনিংসটি সাজান ৮ চার ও ১ ছক্কায়।
বাকি কাজটা করেছেন লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। অ্যানেকে বশের ৬৩ রান ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বাকি ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেননি ফাহিমার স্পিনের সামনে। ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ৪৬.৫ ওভারে ১২৬ রানে সফরকারীদের ইনিংস থামিয়ে দেন ফাহিমাই। অভিজ্ঞ সালমা খাতুন নেন ২ উইকেট।