>• আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব
• জবাবে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সংগ্রহ ১৭৬
• শেষ তিন ওভারের ব্যাটিং দাপটে মুম্বাইয়ের ৬ উইকেটে জয়
কী ঝড়টাই না দেখালেন রোহিত শর্মা ও ক্রুনাল পান্ডিয়া! যেখানে শেষ ৪ ওভারে রানের প্রয়োজন ছিল ৫০। সেখানে এক ওভার বাকি থাকতেই কিনা দলকে ভেড়ালেন জয়ের বন্দরে। এই দুই ব্যাটসম্যানের শেষ তিন ওভারের দাপটেই কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ছয় উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের আশা টিকিয়ে রাখল মোস্তাফিজদের মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। আজও একাদশে ছিলেন না বাংলাদেশের পেসার। মাঠের বাইরে বসে দেখলেন দলের জয়।
আগের আট ম্যাচের ছয়টিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে ছিল মুম্বাইয়ের অবস্থান। আজ এক জয়েই ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে ৫ নম্বরে। অবশ্য নিচের তিন দলের পয়েন্টও সমান ৬। কিন্তু রানরেটে এগিয়ে থেকে মুম্বাই পাঁচে। আর পাঞ্জাব ৩ নম্বর থেকে নেমে গেল চারে।
শেষের তিন ওভার বাদ দিলে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং ছিল বড়ই সাদামাটা। ১৭৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে মাত্র ৩৭ রান। এর মধ্যে ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৩৮ রানের সময় ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরে যান লুইস। ফলে শুরুতেই বেকায়দায় মুম্বাই। প্রথম ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৭। অর্থাৎ বাকি ১০ ওভারে প্রয়োজন ১০৮। এক প্রান্তে ওপেনার যাদব রান তাড়া করে কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলেন মুম্বাই সমর্থকদের। কিন্তু ১২তম ওভারে দলীয় ৮০ ও ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফিরতে হয় যাদবকে। কৃষাণও পারেননি উইকেটে থিতু হতে। দলীয় ১০০ রানে কৃষাণ ফিরে যাওয়ার পরে ১২০ রানে ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যস, এ পর্যন্তই পাঞ্জাবের বোলারদের দাপট।
এরপর শুরু হয় রোহিত ও ক্রুনালের দাপট। শেষ ৩.৩ ওভারে এই জুটির সংগ্রহ ৫৬। ১২ বলে ৩১ করেছেন পান্ডিয়া ও ১৫ বলে ২৪ রান করেছেন অধিনায়ক রোহিত।
এর আগে ক্রিস গেইলের ফিফটিতে ভর করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ১৭৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাঞ্জাব। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তুলেছে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
লোকেশ রাহুল আর গেইল মিলে ৪০ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৫৪ রান। ২০ বলে ২৪ রান করা রাহুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে দেন মারকান্দে। এরপর ধীরেসুস্থে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গেইল। ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫০ রান করে যখন হাত খুলে খেলতে যাবেন, তখনই উইকেট হারিয়ে বসেন গেইল। বেন কাটিংকে ছক্কা মারতে গিয়ে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ধরা পড়েন ক্যারিবীয় এই ওপেনার। ১৪ বলে ১৪ রান করে রানআউটের শিকার হন যুবরাজ সিং। এরপর করুন নায়ার কিছুটা চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে ১২ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২৩ রান করে তিনিও ফিরে যান। শেষদিকে এসে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছেন মার্কাস স্টোয়নিস। ১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।