এমন উইকেটেই ব্যাটসম্যানের দক্ষতা টের পাওয়া যায়। যে উইকেটে অন্য সব ব্যাটসম্যান ভুগছিলেন। হার্দিক পান্ডিয়ার মতো পাওয়ার হিটারেরও ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। সে উইকেটে প্রায় একাই দলকে টেনে নিলেন রোহিত শর্মা। যখন দরকার হয়েছে, বল ঠেকিয়েছেন, আবার যখনই সুযোগ পেয়েছেন, চার-ছক্কায় দলের রান বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অধিনায়কোচিত এক ইনিংসেই আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ানস বড় বিপর্যয় এড়াতে পারল।
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ম্যাচে রোহিত শর্মা শুধু সূর্যকুমার যাদবকেই সঙ্গী পেয়েছেন। বাকিদের মধ্যে মাত্র একজনই দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন। কঠিন উইকেটে পাঞ্জাবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মুম্বাই ইন্ডিয়ান আজ তাই রান উৎসবে নামতে পারেনি। ৬ উইকেট হারিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা আজ ১৩১ রানে থেমেছে।
শুরুতেই টের পাওয়া গেছে, চেন্নাইয়ের উইকেটে আজ স্পিনাররা বড় পরীক্ষা নেবেন। দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও অর্শদ্বীপ সিংয়ের তাই নতুন বল হাতে পাওয়ার সুযোগ হয়নি। মিডিয়াম পেসার ময়জেস হেনরিকেস প্রথম ওভার করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে দীপক হুদার সাফল্যই ম্যাচের বাকি গল্পের দিক ঠিক করে দিয়েছে। ৭ রানে কুইন্টন ডি কককে হারানো মুম্বাই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ২৬ রানে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ততক্ষণে ৭ ওভার শেষ ইনিংসের।
রোহিত শর্মা ও ইশান কিষানের মতো ব্যাটসম্যান থাকার পরও এমন শ্লথগতি উইকেটের প্রকৃতি বুঝিয়ে দিয়েছে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাই ঝড় নয়, বরং দলকে থিতু করাকেই লক্ষ্য বানিয়েছেন রোহিত-যাদব। স্ট্রাইক বদলের সঙ্গে সুযোগ পেলে বাউন্ডারি বের করার চেষ্টা ছিল দুজনের। সেভাবেই ৫৫ বলে ৭৯ রান তুলে নিয়েছেন দুজন। শুরুতে ধীরসুস্থে এগোনো রোহিত দশম ওভারে এসে মেরেছেন প্রথম ছক্কা। সে ছক্কার আগে ৩০ বলে ২৯ রান ছিল মুম্বাই অধিনায়কের।
৪০ বলে ফিফটি পার করা রোহিত অবশ্য মূল সময়ে ব্যর্থ হয়েছেন। স্লগ ওভারে দলের রানরেট বাড়ানোর সময়টাতেই আউট ৫২ বলে ৬৩ রান করা রোহিত। এর আগেই ফিরেছেন ২৭ বলে ৩৩ রান করা যাদব। রোহিত ফেরার পর উইকেটে হার্দিক ও কাইরন পোলার্ডের উপস্থিতি দলকে আশাবাদী করেছিল। কিন্তু মাত্র ১ রান করেছেন হার্দিক। পোলার্ড ১২ বলে করেছেন ১৬ রান। রোহিতের বিদায়ের পর ১৫ বলে ১৯ রান তুলেছে মুম্বাই। ২১ রানে ২ উইকেট করে পেয়েছেন শামি ও লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয়। তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট দীপক হুদার।