একের পর এক রেকর্ড গড়ে ম্যাচের তৃতীয় দিনেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল পাকিস্তান। করাচি টেস্টে চতুর্থ দিনেও একই পথে এগিয়েছে ম্যাচের গতি। দুই ওপেনারের পর রেকর্ড গড়ায় অংশ নিয়েছেন আজহার আলী ও বাবর আজম। ৩ উইকেটে ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ৪৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭ উইকেটে ২১২ রান তুলে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট ও সিরিজ জিততে মাত্র ৩ উইকেট দরকার পাকিস্তানের।
শুরুটা যেমন হয়েছে সে হিসেবে দিন শেষে স্কোরটা যথেষ্ট ভদ্রস্থ দেখাচ্ছে। মাত্র ৯৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারে ওশাডা ফার্নান্দো ছাড়া আর কেউই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুজন অধিনায়ক করুণারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস যথাক্রমে এনে দিয়েছেন ১৬ ও ১৯ রান। প্রথম ছয়জনের মাঝে আর দুজন শূন্য আর দীনেশ চান্ডিমালের অবদান ছিল ২। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নিরোশান ডিকভেলা নামার পরই একটু স্বস্তি পেয়েছেন ফার্নান্দো।
১০৪ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬৫ রান-ই করেছেন ডিকভেলা। দিনের শেষভাগে অবশ্য ১১ রানের মধ্যে ডিকভেলা ও দিলরুয়ান পেরেরার বিদায় আবার বিপদে ফেলেছে শ্রীলঙ্কাকে। ১৭৫ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত আছেন ফার্নান্দো। ১৩টি চার মারলেও ইনিংসটি ছিল বেশ নিয়ন্ত্রিত।
শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানের টপ অর্ডার উল্টো রেকর্ড করেছে আজ। গতকালই সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন শান মাসুদ (১৩৫) ও আবিদ আলী (১৭৪)। আজ সে পথেই হেঁটেছেন আজহার আলী (১১৮) ও বাবর আজম (১০০*)। টেস্ট ইতিহাসে এর আগে মাত্র একবার একই ইনিংসে দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। সেটা অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০০৭ সালে ঢাকায় ভারতের দীনেশ কার্তিক, ওয়াসিম জাফর, রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার সবাই ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন।