ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক আর প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচে আজ যা হলো, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অনেক নাটকের পর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব জিতেছে মাত্র ৩ রানে।
দল জেতায় হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন রুবেল হোসেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের এই পেসার শেষ ওভারে ৪ ছক্কা খেয়ে দলকে তো প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন।
জয়ের জন্য প্রাইম দোলেশ্বরকে রুবেলের করা শেষ ওভারটি থেকে করতে হতো ৩১ রান। ব্যাটিং করছিলেন বোলার কামরুল ইসলাম। কিন্তু তিনিই রুবেলের ৬ বলের ৪টিতে মেরে দিলেন ছক্কা।
২৭ রান তুলে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি। এ জয়ে লিগে পয়েন্ট তালিকায় দোলেশ্বরকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে এল প্রাইম ব্যাংক।
ম্যাচটা আসলে এ অবস্থায় আসারই কথা নয়। আগাগোড়াই তা নিয়ন্ত্রণে ছিল প্রাইম ব্যাংকের। আগে ব্যাটিং করে মোহাম্মদ মিঠুনের ৫৫ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে প্রাইম ব্যাংক স্কোরবোর্ডে তোলে ১৫১।
জাতীয় দলের বোলারদের নিয়ে গড়া প্রাইম ব্যাংক শুরু থেকেই দাঁড়াতে দেয়নি দোলেশ্বরকে। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট নিয়েছেন, রুবেল নিয়েছেন ২ উইকেট। শরীফুল ইসলাম আর নাঈম হাসান ১টি করে উইকেট নিয়ে দোলেশ্বরের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছিলেন।
শেষ ওভারটাতেই রুবেলের বলে কামরুল ধুমধাড়াক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন। কামরুল ১২ বল খেলে ৩৮ করেন, এটিই দোলেশ্বরের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
সকালের আরেক ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ওল্ড ডিওএইচএসের তরুণ মাহমুদুল হাসান। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি সতীর্থদের ব্যর্থতায়।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণের ৫৫ বলে ৮৫ রানই এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ডিওএইচএসের ব্যাটিং একাই টেনে নিলেও শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা মাহমুদুলের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি।
৪০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন মাহমুদুল। এরপর তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই অন্যদের ব্যর্থতার পরও ২০ ওভারে ১৩৬ রানে থামে ওল্ড ডিওএইচএসের স্কোর। ৫৫ বলে তাঁর ৮৫ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়। গাজী গ্রুপের হয়ে ১০ রানে ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
এই রান তাড়া করতে কষ্ট হয়নি গাজী গ্রুপের। সৌম্য সরকারের দারুণ শুরুর পর মুমিনুল, মেহেদী হাসান, মাহমুদউল্লাহর প্রচেষ্টায় ওল্ড ডিওএইচএসের ১৩৭ রানের লক্ষ্য গাজী টপকে যায় ৬ উইকেট হাতে রেখেই।
বিকেএসপির আরেক ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছেন শেখ জামালের বাঁহাতি পেসার সালাউদ্দিন শাকিল। পারটেক্সের বিপক্ষে মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে এটি শাকিলের প্রথম ৫ উইকেট-কীর্তি।
তাঁর বোলিংয়েই মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স। এ রান ১৬ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় শেখ জামাল।