পেসারদের কাছে বলটা গুরুত্বপূর্ণ এক অস্ত্র হয়ে উঠেছে। আইপিএলের সৌজন্যে এবার নাকল বল ভীষণ আলোচিত। বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেনের কাছে অবশ্য এই বৈচিত্র্য নতুন কিছু নয়। জানালেন, যে নাকল বল এত আলোচিত, সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন অনেক আগে থেকেই।
বলের মুভমেন্ট আর গতি অনুমান করা ব্যাটসম্যানদের কাছে কঠিন হয়ে যায় বলে পেসাররা এখন নিয়মিতই এই অস্ত্র ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। ব্যাটসম্যানরা একেবারে যে এই বল পড়তে পারেন না, তা নয়। অনেক পেসার নাকল বল করতে গিয়ে মারও খাচ্ছেন। তবে ব্যর্থতার বিপরীতে সাফল্যের পাল্লা ভারী বলে আইপিএলে বেশির ভাগ পেসারই এ বৈচিত্র্য কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন।
রুবেল অবশ্য বলছেন, নাকল বল তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়, ‘নাকল বল নিয়ে অনেক আগে থেকেই অনুশীলন করছি। নিউজিল্যান্ড সফরে হয়তো দুয়েকটা বলে এটা চেষ্টা করেছিলাম। সেগুলো ভালোই হয়েছিল। তবে এই ডেলিভারি দিতে আত্মবিশ্বাস লাগে। আর এখন আইপিএলে সবাই এটা নিয়মিত করছে। মোটামুটি সবাই সফলও হচ্ছে। এটা খুব ভালো একটা বৈচিত্র্য। এটা নিয়ে আমার আরেকটু কাজ করতে হবে।’
দুই বছর আগে রুবেল জানিয়েছিলেন, তিনি নতুন এক বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করছেন, যেটির নাম ‘বাটারফ্লাই’। ২৮ বছর বয়সী পেসার আজ বিসিবি একাডেমি মাঠে বললেন, যা–ই বাটারফ্লাই, তা–ই নাকল বল, ‘ওটাই তো এই নাকল বল। আঙুলের ডগায় বল আটকে একই আর্ম স্পিডে ডেলিভারিটা দিতে হয়। একই অ্যাকশন আর ফলো থ্রুতে বলটা স্লোয়ার হয়ে যায়।’
টেকনিক জানেন ঠিক আছে, সেটা তো ২২ গজে কাজে লাগাতে হবে। স্কিল প্রদর্শনীর সবচেয়ে সেরা মঞ্চ বিশ্বকাপ। ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো এক বছর। তবে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে কদিন আগে। ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলকে জেতানো রুবেল পারবেন সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে?
রুবেল স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, ‘ইংল্যান্ডে আমরা অনেকবার গিয়েছি। সেখানে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমার কিছু ভালো স্মৃতিও আছে ইংল্যান্ডে। যদি ফিট থাকি আর বিশ্বকাপ দলে আমাকে রাখে, অবশ্যই চেষ্টা করব ভালো খেলতে। আমার ভালো যে স্মৃতিগুলো আছে, সেগুলো পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করব। চাইব ভালো কিছু উপহার দিতে।’