বিরাট কোহলি ব্যাটিংয়ে। খুব কম বোলারই তাঁর চোখে চোখ রেখে বল করেন। এদিক থেকে বাংলাদেশের সমর্থকেরা ভাগ্যবান। ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক কোহলির চোখে চোখ রেখে বোলিং করেন রুবেল হোসেন।
বাইশ গজে দুজনের লড়াইয়ে ঝাঁঝালো চোখাচোখি নতুন কিছু না। কাল ফেসবুক লাইভে তামিম ইকবাল বলছিলেন, 'রুবেল, বিরাট কোহলির সঙ্গে তোর সব সময় কিছু না কিছু লেগে থেকে। অনেকদিন ধরেই দেখছি। চোখাচোখি করিস, আউট করলে লাফালাফি করিস, এটার কাহিনীটা যদি একটু বলতি?'
ফেসবুক লাইভে বাকি দুজন রুবেল ও তাসকিনের মুখ তখন হাসির ছটা। কোহলির সঙ্গে রুবেলের ক্রিকেটীয় শত্রুতা তো আজকের না। ভারতীয় অধিনায়ককে পেলেই রুবেলের শরীরী ভাষা যেন পাল্টে যায়। সব সংস্করণ মিলিয়ে দুবার তাঁকে আউট করেছেন রুবেল। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে কোহলিকে আউট করার পর রুবেলের উদযাপন ছিল দেখার মতো।
কোহলির সঙ্গে রুবেলের দ্বৈরথের শুরুটা জানতে চেয়েছিলেন তামিম। রুবেলের জবাব, 'আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছি। সেই অনূধ্ব-১৯ থেকে ওর সঙ্গে একটা দ্বন্দ্ব (মুখে হাসি) লেগে আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ এ অনেক বেশি স্লেজিং করত। জাতীয় দলে হয়তো একটু কমছে কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকতে প্রচুর স্লেজিং করত।'
রুবেল এরপর টেনে আনেন পুরোনো ইতিহাস, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ এর একটা টুর্নামেন্ট ছিল, ত্রিদেশীয়। ও প্রচুর স্লেজিং করছিল। আমাদের ব্যাটসম্যান যে-ই নামছিল প্রচুর গালিগালাজ করছিল। সে কীভাবে গালিগালাজ করে এটা আমরা সবাই জানি (এ সময় তামিম হেসে ফেলেন)। ওখানে ওর সঙ্গে খারাপ একটা ঘটনা ঘটেছিল আমার। আমি ওকে আউট করার পর গালি দিয়েছিলাম। ও ব্যাটটা উল্টো করে ধরে গালি দিচ্ছিল আমাকে। আমি ওর দিকে তেড়ে যাই। ও নিজেও আমার দিকে তেড়ে আসছিল। আম্পায়ার এসে শান্ত করেন আমাদের।'
রুবেল এরপর ব্যাখ্যা করে, 'ওই থেকেই ওর সঙ্গে আমার একটা দ্বন্দ্ব আরকি। এরপর জাতীয় দলে ওকে দেখেছেন, বিশ্বকাপেও দেখেছেন। জানেনই তো ও কীরকম স্লেজিং করে। বিশেষ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ও যেভাবে স্লেজিং করে। জাতীয় দলে ওর সঙ্গে আমার দু-একবার বেধেছে ওরকম। আসলে এটার শুরু সেই অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে।'