>
রাজ্জাকের ৭ উইকেট প্রাপ্তির দিনটা মনে থাকবে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার আরিফুল হকেরও। কারণ রাজ্জাকের বলেই সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দুই রান দূরে আউট হয়েছেন আরিফুল
বয়সের ঘড়িতে ৩৬ দেখাচ্ছে। জাতীয় দলে এখন আর ডাক মেলে না বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। কিন্তু তাঁকে কখনো শুনতে হয় না, একেবারেই ফুরিয়ে গিয়েছেন রাজ্জাক। কারণ প্রতিনিয়তই বল হাতে প্রমাণ করে যাচ্ছেন এখনো দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার তিনি। আজ তো জাতীয় লিগের চার দিনের ম্যাচে ঘূর্ণির মায়া ছড়িয়ে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। রাজ্জাকের ৭ উইকেট প্রাপ্তির দিনটা মনে থাকবে জাতীয় দলের বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হকেরও। কারণ রাজ্জাকের বলেই সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দুই রান দূরে আউট হয়েছেন আরিফুল।
চট্টগ্রামের জহর আহমেদ স্টেডিয়ামে বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনের খেলায় রাজ্জাকের ৭ উইকেটেই প্রথম দিনে ২৯৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করে রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লুর শিকার হয়েছেন আরিফুল। ২১ রানে ১ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক জহুরুল হক। তাঁর সিদ্ধান্তটি সঠিক প্রমাণ করছিলেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিক। ৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই ওপেনার। ২৯ রান করা মিজানুরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাজ্জাক। দলীয় ৯৬ রানের সময় ৪৪ রান করা জুনায়েদকে থামান মেহেদি হাসান। ৯৬ থেকে ১০৯—১৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় উত্তরাঞ্চল।
এর মধ্যে ২৪ রানে ফরহাদ হোসেন ও ৩ রানে জহুরুল ইসলাম শিকার হন রাজ্জাকের। আর ৫ রান করে শফিউল ইসলামের শিকার নাঈম ইসলাম। ধীমান ঘোষও দাঁড়াতে পারেননি। দলীয় ১৩৬ রানে মাত্র ১২ করেই ফিরে যান তিনি। এরপর নিজেদের সেরা সময়টা কাটিয়েছে উত্তরাঞ্চল। সপ্তম উইকেটে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আরিফুল যোগ করেন ১৩৫ রান। ১০৩ বলে ৭টি চার ও দুই ছক্কায় ৬৯ রান করা জিয়াকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন নাহিদুল ইসলাম। মাত্র ২২ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রানে গুটিয়ে যায় উত্তরাঞ্চল। শেষ তিনটি উইকেট নেন রাজ্জাক।
এর আগে শেষ দিকে এসে সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়ার শঙ্কায় বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন আরিফুল। শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কে যাওয়া হয়নি তাঁর। ১৫১ বলে ৬ চার ও তিন ছক্কায় ৯৮ রান করে ফিরে যান রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ৬৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক। একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল, মেহেদি ও শফিউল ইসলাম।
ব্যাট করতে নেমে ২১ রান তুলতে ১ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। সানজামুল ইসলামের বলে মাত্র ১ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস। এনামুল হক ৭ ও ফজলে মাহমুদ ৮ রানে অপরাজিত আছেন।