ম্যাচের ১৪ তম ওভারের কথা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আন্দ্রে রাসেল ব্যাট করছেন জ্যামাইকান তালাওয়াজের হয়ে। বল হাতে সেন্ট লুসিয়া জুকসের দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলার হার্ডাস ভিলোয়েন। হঠাৎ ভিলোয়েনের এক দুরন্ত বাউন্সার আঘাত হানল রাসেলের ডান কানের নিচে।
ব্যস। স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা মাঠ। আগত দর্শক ও খেলোয়াড়দের শিরদাঁড়া দিয়ে যেন বয়ে গেল ঠান্ডা স্রোত। আর হবে না-ই বা কেন? মাথায় ক্রিকেট বলের আঘাত লেগে মৃত্যু তো নজিরবিহীন কিছু নয়। এমনই এক বাউন্সারে প্রাণ হারিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় তারকা ফিল হিউজ। ক্রিকেট বলের আঘাতে প্রাণ হারানোর তালিকায় আছে রমন লাম্বা, জর্জ সামার্সের নামও। বাজে চোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন নরি কনট্রাক্টর, আজহার আলী, এমনকি মুশফিকুর রহিমও। কিছুদিন আগেই লর্ডস টেস্টে মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। হেলমেট পরেও জফরা আর্চারের বাউন্সার আঘাত হেনেছিল স্মিথের বাঁ কানের নিচে উন্মুক্ত জায়গায়। সে চোটে এক টেস্ট বসে থাকতে হয়েছে স্মিথকে।
রাসেলের আঘাত সামনে নিয়ে এসেছিল আগের সব ঘটনাগুলোই। রাসেল অবশ্য নিজে ভেবেছিলেন আঘাতটা অতটা গুরুতর কিছু নয়। হয়তো সামলে নিতে পারবেন। মাঠে ফিরতে চাইলেন। কিন্তু মাঠে পা রেখেই বুঝতে পারলেন, ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়। মাথার চোট যেহেতু, তাই চিকিৎসকেরাও কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। দ্রুতই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রাসেলের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অবশ্য ভালোই এসেছে। ম্যাচে হারজিতের চেয়েও বড় হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটি। আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন সবাই।
রাসেল না খেলার মাসুলটা অবশ্য দিতে হয়েছে। হেসে খেলে ম্যাচটি জিতেছে সেন্ট লুসিয়া জুকস।