৫৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। কেশব মহারাজের ৭ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার মিলে ১০ উইকেট নিয়ে ফিরিয়ে এনেছেন ৭২ বছরের পুরোনো স্মৃতি।
• টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। সর্বনিম্ন ৪৩, ২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
• দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন ৯০, ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে।
• টেস্টে ডারবানে সর্বনিম্ন। আগের রেকর্ড ৬৬, ১৯৯৬ সালে ভারতের।
মাত্র ১৯ ওভারেই অলআউট বাংলাদেশ। টেস্টে বাংলাদেশ এর চেয়ে কম ওভারে অলআউট হয়েছে মাত্র একবার—২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় প্রথম ইনিংসে ১৮.৪ ওভারে।
টেস্টে ১২ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অভিষেকের পর টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশই। এই সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট পাকিস্তান।
বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয় টেস্টে পেয়ার বা জোড়া শূন্য পেলেন খালেদ আহমেদ। টেস্টে একাধিকবার জোড়া শূন্য পাওয়া সপ্তম বাংলাদেশি খালেদ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনবার জোড়া শূন্য মঞ্জুরুল ইসলামের।
৭২ বছর পর টেস্টে এক ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা ১০ উইকেট পেলেন। এবারের আগে সেই ১৯৫০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন দুই প্রোটিয়া স্পিনার হিউ টেফিল্ড (৭/২৩) ও টাফটি মান (৩/৩১)।
টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা তিনবার ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন, তিনবারই ডারবানে। প্রথমবার ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে টাফটি মান (৬/৫৯) ও অ্যাথল রোয়ান (৪/১০৮) মিলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।
এশিয়ার বাইরে এই প্রথম বাংলাদেশের ইনিংসের ১০টি উইকেটই পেলেন প্রতিপক্ষের স্পিনাররা। সব মিলিয়ে টেস্টে পাঁচবার বাংলাদেশ স্পিনারদের ১০ উইকেট দিয়েছে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করেছেন শুধু কেশব মহারাজ ও সাইমন হারমার। টেস্টে এই প্রথম মাত্র দুজন বোলার ব্যবহার করেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশও এমন কিছুর ভুক্তভোগী হলো এই প্রথম।
প্রতিপক্ষ অলআউট হয়েছে, এমন ইনিংসে মাত্র দুজনের বোলিং করার ২৮তম উদাহরণ গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
• টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলিং। আগের সেরা মাখায়া এনটিনির। ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এনটিনি।
• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট লড়াইয়ে সেরা বোলিং। পেছনে পড়লেন বাংলাদেশের পেসার শাহাদাত হোসেন। ২০০৮ সালে মিরপুরে ২৭ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন শাহাদাত।
• টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনারদের পঞ্চম সেরা বোলিং। সেরা বোলিং হিউ টেফিল্ডের (৯/১১৩)। ১৯৫৭ সালে জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
• টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় সেরা বোলিং। সেরা পাকিস্তানের সাজিদ খানের (৮/৪২), গত বছর মিরপুরে।