যে কারণে 'নার্ভাস' ছিলেন সাকিব

এই ক্যাচটা লুফে নেওয়ার মতো ম্যাচের শুরুতেও নার্ভাস ছিলেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
এই ক্যাচটা লুফে নেওয়ার মতো ম্যাচের শুরুতেও নার্ভাস ছিলেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
>চোটে পড়ে দুই মাস মাঠের বাইরে থাকার পর মাত্র চারটি অনুশীলন সেশন করেই একটা টেস্ট খেলা মোটেও সহজ কাজ নয়। সহজ ছিল না সাকিবের জন্যও।

চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন টিম ম্যানেজমেন্টের যাঁকেই প্রশ্নটা করা হয়, শুনেই ধাক্কা খান! এ প্রশ্ন কেন! ‘সাকিব আল হাসান এই টেস্ট খেলবেন তো?’ একজন তো বিস্ময়ে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, 'এই প্রশ্ন আসছে কেন?' আসছে সাকিবের কথা ধরেই।

টেস্ট-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক জানালেন, তাঁর হাতের অবস্থা 'পুরোপুরি ভালো'। তবে খেলছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, 'দেখা যাক। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে খেলছি কি না।' শেষ পর্যন্ত সাকিব খেলেছেন। দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে লম্বা বিরতির পর ফেরাটা তাঁর মোটেও সহজ ছিল না।

সাকিব বললেন, প্রথম দিন বেশ স্নায়ুচাপেও ভুগেছেন, 'ড্রেসিংরুমে অনেক নার্ভাস ছিলাম। যখন মাঠে এসেছি তখন যতটা ভেবেছিলাম, ততটা নার্ভাস লাগেনি। আর প্রথম বল পুরোই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব ভাগ্যবান ছিলাম। আর সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল ওই ক্যাচটা নিতে গিয়ে (জোমেল ওয়ারিক্যানের)। ওদের জুটি (৯ম উইকেটে) লম্বা হতে শুরু করেছিল, দলের সবাই দেখি কিছুটা আতঙ্কিত হওয়াও শুরু করেছে। যদিও আমি অনেক ঠান্ডা ছিলাম। ওই সময় বল যখন মাথার ওপরে, অনেক কিছু মাথায় আসছিল। মনে হচ্ছিল যদি হাত ফসকে যায়, তখন বাকিরা আরও ঘাবড়ে যাবে। সব ঠিকঠাক মতো শেষ হয়েছে, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।'

দুই মাস মাঠের বাইরে থাকার পর মাত্র চার দিনের অনুশীলনের পর টেস্ট খেলতে নেমেছেন। চট্টগ্রাম টেস্ট আড়াইদিনে শেষ হওয়ায় মিরপুর টেস্টে নিজেকে পুরোপুরি তৈরি করতে সময় পাচ্ছেন বলে বেশ খুশি সাকিব, 'বেশ কয়েকটা দিন আছে মাঝে, ফিটনেসের কিছু কাজ করতে পারব। আমি প্রথম টেস্ট খেলার আগে তিনটা সেশন ব্যাটিং করেছি। দুই মাস পরে এসে এটা খুবই সামান্য। আমার জন্য কঠিন ছিল। ভালো মতো টেস্টটা শেষ করেছি। আর আমি নিশ্চিত আরেকটু ভালো অবস্থায় পরের ম্যাচটা খেলতে পারব।'

টেস্ট খেলতে সাকিবের অনীহা—এ প্রশ্ন যদি এখনো কারও মনে ঘুরপাক খায়, সাকিবের এই নিবেদনে সেটি দূর হয়ে যাওয়ার কথা!