>অস্ট্রেলিয়ায় চোটের চিকিৎসায় গিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। দেশে ফিরে করোনার এই সময় তাই তাঁদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে। ১৪ দিনের সেই জীবন শেষ হয়েছে দুই তরুণ ক্রিকেটারের। কেমন কাটল তাদের কোয়ারেন্টিন?
টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। কোয়ারেন্টিনে টানা ১৪ দিন ঘরে আটকা থাকার পর কাল মুক্তি মিলল সাদমানের। কবজির চোটের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন। এরপর দেশে ফেরার পর করোনাভাইরাসের জন্য গত ১৭ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন সাদমান। এই সময় সাদমানের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ ধরা পড়েনি।
কাল কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে যেন জেল থেকে ছাড়া পেলেন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ‘সময়টা খুবই বিরক্তিকর ছিল। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি কখনো। এখন স্বস্তি লাগছে। কাল সবার সঙ্গে এক সঙ্গে খেতে বসেছি। বিশেষ মুহূর্ত ছিল আমার জন্য।’ সাদমান এই সময়টায় প্রচুর বই পড়েছে। দেখেছেন সিনেমা।
সাদমানের মতোই গত ১৭ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন আরেক তরুণ ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে চোটের কারণে ছিটকে পড়া মৃত্যুঞ্জয়কেও অস্ট্রেলিয়া যেতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। দেশে ফিরে তাঁকেও যেতে হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। এখন পর্যন্ত দিব্যি সুস্থ আছেন এই অলরাউন্ডার।
মৃত্যুঞ্জয়ও এই ১৪ দিন কাটিয়েছেন বই পড়ে আর সিনেমা দেখে,‘এমন সময় আর পার করিনি কখনো। সম্পূর্ণ বন্দীদশা। এই সময়টা বই পড়ে, মুভি দেখে কাটিয়েছি। এখন সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কথা হচ্ছে। স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু।’