>ভারতের সাবেক কোচ গ্যারি কারস্টেনের দাবি শচীন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ার লম্বা হওয়ার পেছনে তাঁরও একটু অবদান আছে
২০০৭ সালে ভারত বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়ার পর ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। আত্মজীবনী প্লেইং ইট মাই ওয়েতে ওই অধ্যায়ের বিস্তারিত লিখেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি। অবসরের চিন্তাভাবনা করা সেই টেন্ডুলকার সত্যি সত্যিই ক্রিকেট ছাড়লেন ছয় বছর পর ২০১৩ সালে। এর মধ্যে ২০০৮ থেকে ২০১১—এই তিন বছর তো টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময়ই হয়ে আছে।
অবসরের চিন্তা ঝেড়ে ফেলে টেন্ডুলকার আবার কীভাবে মনোযোগ দিলেন, সেটিই এত দিন পর বললেন ভারতের সে সময়ের কোচ গ্যারি কারস্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান জানালেন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ারে একটু হলেও অবদান রেখেছেন তিনি।
কীভাবে বিদায় নিতে চাওয়া এক খেলোয়াড়ের মানসিকতা বদলে দিলেন, তা টকস্পোর্টসের ফলোয়িং অন পডকাস্টে বললেন কারস্টেন, 'তার (টেন্ডুলকার) ভাষ্যমতে, সে সময় জায়গামতো ব্যাটিং করতে না পারায় সে তখন ক্রিকেট মোটেও উপভোগ করছিল না। পরের তিন বছরে সেই ব্যাটসম্যানের ১৮টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। সে ব্যাটিংয়ে নিজের পছন্দের জায়গায় ফিরে গিয়েছিল, আর বিশ্বকাপটাও তো জিতল।'
কারস্টেন বললেন টেন্ডুলকারকে তিনি মুখে কোনো পরামর্শই দেননি। তাহলে কী করেছিলেন, জানালেন কারস্টেন, 'সে যেন ভালো করতে পারে, তেমন একটি পরিবেশই আমি তৈরি করে দিয়েছিলাম। আমি তাকে মুখে কিছুই বলিনি। সে তো খেলাটা বুঝতই, দরকার ছিল শুধু ভালো একটা পরিবেশ। আর তা শুধু তার জন্যই নয়, পুরো দলের জন্যই দরকার ছিল। এমন একটা পরিবেশ যেখানে তারা নিজেদের সেরা রূপে দেখতে পায়।'
কারস্টেন সেই পরিবেশ তৈরিতে সফলই হয়েছিলেন। ওই সময়েই ২৮ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। আর টেন্ডুলকার ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটাও পেয়েছিলেন কারস্টেনের সময়েই।