>অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে দেশ এখন উদ্বেলিত। সে আনন্দে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসানও
‘ছোট ভাই’ আকবর যখন গতকাল একের পর এক বল ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন, সাকিব আল হাসান কী করছিলেন তখন?
দেশের বাকী সব মানুষের মতো তিনিও কি টিভির সামনে কাঁপছিলেন নখ কামড়ানো উত্তেজনায়? রবি বিষ্ণয়ের লেগ স্পিনকে নির্বিষ কীভাবে বানাতে হয়, সে পরামর্শ আকবর-তৌহিদদের দেওয়ার জন্য কি নিশপিশ করছিল তাঁর দুই হাত? বাকী সবার মতো তিনিও কি বৃষ্টি হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন প্রক্রিয়ায় স্কোর কত হবে, সে হিসাব কষছিলেন মনে মনে?
হতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছুই নয়। গতকালের ম্যাচটাই যে হয়েছে অমন উত্তেজনাপূর্ণ!
পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছেন আকবর আলী, পারভেজ হোসেনরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৭৭ রানে অলআউট হয় ভারত। পরে ব্যাট করতে নেমে একপর্যায়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। এরপরই শুরু হলো আকবর আলী আর রকিবুল হাসানের সাহসিকতা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার অনুপম প্রদর্শনী। গোটা ম্যাচ জুড়ে গোমড়া মুখে ছিল আকাশ। তাই বৃষ্টি নামলে কী হবে, বৃষ্টি নামলে কত স্কোর করে রেখে যেতে হবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার জন্য, এমন হিসাব-নিকাশও ছিল।
বৃষ্টি একপর্যায়ে এল। সে সময় বৃষ্টি আইনে ১৬ রান এগিয়ে বাংলাদেশ। খেলা আর শুরু না হলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন—এমন একটা সমীকরণ মাথায় নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি থেমে গেল দ্রুতই। এবার নতুন লক্ষ্য ৩০ বলে ৭। ঠান্ডা মাথায় সে লক্ষ্য অতিক্রম করে দেশকে আনন্দের জোয়ারে ভাসালেন আকবররা। আর আকবরদের অন্যান্য বড় ভাই অর্থাৎ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাব্বির রহমানদের মতো সাকিব আল হাসানও অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়েছেন দলকে।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার, 'বাঘের বাচ্চারা করে দেখিয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা, ভারতের যুবাদের ৩ উইকেটে হারিয়ে।'