শর্ট থার্ডম্যানে শরীফুল ইসলাম ডাইভ দিয়েছিলেন, তবে আটকাতে পারেননি বলটা। নাসুম আহমেদ মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষে নিজের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে এসে দিলেন চার, কাল তাঁর বলে প্রথম বাউন্ডারি সেটি। ফলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এ বাঁহাতি স্পিনারের বোলিং ফিগার দাঁড়াল এমন—৪-০-৯-৩।
বিপিএলের ইতিহাসে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৩ বা এর বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার হাতছানি ছিল নাসুমের, ২০১৬ সালে নাজমুল ইসলাম রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের হয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
নাসুম সে রেকর্ডটা ভাঙতে না পারলেও ঢাকার বিপক্ষে জয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। নাসুম বলছেন, পাওয়ারপ্লেতে বোলিংটা উপভোগ করেন তিনি। যেসব ব্যাটসম্যান বেশি মারেন, তাঁদের বিপক্ষে বোলিং করতেও ভালো লাগে তাঁর।
ম্যাচ শেষে নাসুম বলেছেন, বোলিংয়ে তাঁর মূল লক্ষ্য থাকে রান আটকানোই, ‘আমি সচরাচর উইকেট পাই না, পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করি। আমার লক্ষ্যই থাকে, দলকে একটা ভালো শুরু এনে দেওয়া। আজ যেহেতু ১০/১২ ওভার পর আবার এসেছি, তখন উইকেট পেয়ে ভালো লাগছে।’
তবে পাওয়ারপ্লেতে বোলিংটা উপভোগ করেন নাসুম, ‘বোলিংটা অনেক উপভোগ করেছি। অনেক ডট বল দিয়েছি এজন্য ভালো লাগছে। আমি টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করতে খুব উপভোগ করি, বিশেষ করে পাওয়ারপ্লেতে বল করতে বেশ ভালো লাগে।’
পাওয়ারপ্লেতে আজ ২ ওভার বোলিং করেছেন নাসুম, দিয়েছেন ৩ রান। এরপর ফিরেছেন ১৪তম ওভারে। মোহাম্মদ নাঈম ও মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়েছেন এক ওভারে, নিজের শেষ ওভারে পেয়েছেন ঢাকার শেষ আশা হয়ে থাকা আন্দ্রে রাসেলের উইকেটও। নাসুম বলেছেন, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে রাসেলের ওই উইকেট। বাউন্ডারি থেকে ছুটে এসে ক্যাচ নেওয়া শামীম হোসেনকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
তবে রাসেলের মতো মেরে খেলা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিজের বোলিংটা উপভোগ করেন নাসুম, ‘যাঁরা বেশি মেরে খেলেন তাঁদেরকে বোলিং করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমি ওঁদেরকে খুব ভালো পড়তে পারি।’
ম্যাচ শেষে নাসুমের প্রশংসা করেছেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও, ‘এমন উইকেটে ১৬১ ডিফেন্ড করতে পেরে খুবই খুশি আমি। পাওয়ারপ্লেতে আমাদের বোলাররা খুবই ভালো করেছে, মাঝের ওভারগুলোতেও ভালো করেছে। এমন ম্যাচে পাওয়ারপ্লে গুরুত্বপূর্ণ। এ উইকেটটা একটু “ট্রিকি”। কিছু বল টার্ন করে, কিছু সোজা যায়। ভালো জায়গা ধরে বোলিং করে যেতে হয়। নাসুম সত্যিই ভালো বোলিং করেছে।’