অনেক দিন পর মেহেদী হাসান মিরাজ পেলেন অধিনায়কত্বের স্বাদ। আজ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো করলেন ‘সিনিয়র’দের অধিনায়কত্ব
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে লম্বা সময়ে অধিনায়কত্ব করেছেন। ব্যর্থতার তুলনায় সফলই বেশি হয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেছনে ফেলেছেন অনেক দিন হলো। মেহেদী হাসান মিরাজ আবার পেলেন অধিনায়কত্বের স্বাদ। আজ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো করলেন সিনিয়রদের অধিনায়কত্ব।
বড় মঞ্চে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দিনটা খুব একটা ভালো কাটেনি মিরাজের। ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তাঁর দল রাজশাহী কিংস। ম্যাচ হারলেও অনেক কিছু শিখেছেন মিরাজ, ‘প্রথমবারের মতো এত বড় মঞ্চে অধিনায়কত্ব করছি। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এ ম্যাচ থেকে। আমার ঘাটতি কোথায়, সেটা আরও পরিষ্কার হয়েছে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট শেষ করার তিন বছর পর আবার অধিনায়কত্ব করছি। অনেক দিন পর অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। যে ঘাটতিগুলো ছিল, কোথায় কোথায় উন্নতি করা যায়, কোচ, সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা করব। শেখার কোনো শেষ নেই। এটা আমার জন্য বড় প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে নিজেকে কতটা এগিয়ে নিতে পারি, কতটা পরিণত করতে পারি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নেমেই ঝড়ের মুখে পড়লেন। ঝড় তুললেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে ওপেনার হাজরাতউল্লাহ জাজাই এতটাই আক্রমণাত্মক হলেন, মিরাজের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। অধিনায়ক হিসেবে এই পরিস্থিতি সামলানো সবচেয়ে কঠিন কাজ মনে হয়েছে রাজশাহী অলরাউন্ডারের, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনেক সময় অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে যখন সব বোলার মার খায়, কোনো বোলার কখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারে না এটা অনেক পরিস্থিতি। প্রথম ১০-১২ ওভার ওরা অনেক আধিপত্য দেখিয়েছে। পরে ৪-৫ ওভার আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেষ দিকে আবার ওরা দাপট দেখিয়েছে। কিছু কিছু পরিস্থিতি আছে, যখন বোলাররা ভালো করতে পারে না, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান বেশি ভালো ব্যাটিং করে, তখন কঠিন হয়ে যায় অধিনায়কত্ব করা।’
ঢাকা যেভাবে শুরু করেছিল একটা সময়ে মনে হচ্ছিল তারা ২০০ পেরিয়ে যাবে অনায়াসে। রাজশাহীর বোলাররা পরে কিছুটা লাগাম টেনে ধরতে পেরেছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত রক্ষা হয়নি। ব্যর্থ বোলারদের পিছু পিছু হেঁটেছেন ব্যাটসম্যানরাও। মিরাজের আফসোসটা এখানেই, ‘আমার মনে হয়, আমরা ৩০ রান বেশি দিয়েছি। এই উইকেটে ১৯০ রান তাড়া করা অনেক কঠিন। বল নিচু হয়ে আসছিল। আমরা যদি ১৬০-১৭০ রানের মধ্যে রাখতে পারতাম আমাদের জন্য সুযোগ থাকত। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো করত তাহলে হয়তো আমরা ভালো একটা স্কোর করতে পারতাম। হয়তো লড়াই করা যেত। ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে এই স্কোরেও হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারত।’