>
- পাল্লেকেলে টেস্ট জিততে শ্রীলঙ্কার দরকার ৭৫ রান
- টেস্ট ও সিরিজ জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ৩ উইকেট
দিনের শেষ ভাগে বৃষ্টি নামবে। আর সে বৃষ্টিতে শেষ সেশনের উত্তেজনা ধুয়ে যাবে। আরেকটি দিনের অপেক্ষা বাড়বে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট ম্যাচগুলোর ভাগ্যে ইদানীং এটা লেখাই থাকছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পর ইংল্যান্ড সিরিজেও তা–ই হচ্ছে। তৃতীয় দিনের পর পাল্লেকেলেতে চতুর্থ দিনের শেষভাগও দেখা হলো না বৃষ্টির সুবাদে। ফলে টান টান উত্তেজনার এক ম্যাচের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা আরেক দিন বাড়ছে। তবে শেষ দিনের আগে জয়ের সুবাসটা ইংল্যান্ডের দিকেই বেশি। মাত্র ৩ উইকেট পেলেই ১৭ বছর পর লঙ্কার মাটিতে সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড।
চা–বিরতি পর্যন্ত এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। ৩০১ রানের লক্ষ্যটাও হাতের নাগালে ঠেকছিল তখন। এমন কঠিন লক্ষ্য তাড়া করেও ইতিবাচক খেলছিল শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেট হারিয়েই ২১৯ রান তখন স্বাগতিকদের। জয় মাত্র ৮২ রান দূরে। বিরতির পর প্রথম ওভারেই ঘটল অঘটন। জয় থেকে ৮০ রান দূরে থাকা অবস্থায় মঈন আলীর অফ স্পিনে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ৮৮ রানের দারুণ এক ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে আশা দেখাচ্ছিলেন এই ম্যাথুসই। শ্রীলঙ্কার দুঃখ আরেকটু বাড়ল যখন রিপ্লেতে দেখা গেল আউটটা আম্পায়ার না দিলেও কিছু করতে পারত না ইংল্যান্ড। কারণ, রিপ্লেতে সিদ্ধান্তটা ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখাচ্ছিল।
৫ রান পরেই দিলরুয়ান পেরারাও আরেকটি আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লু হলেন। খেয়ালি প্রকৃতিও বৃষ্টি নামার জন্য এই মুহূর্তকেই বেছে নিল। ৭ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। জয়ের জন্য ২৭ রানে অপরাজিত থাকা নিরোশান ডিকভেলার দিকেই তাকিয়ে থাকবে তারা। আর ৪ উইকেট নেওয়া লিচের দিকে তাকিয়ে থাকবে সফরকারীরা। গত ৩০ বছরে প্রথম ইংলিশ হিসেবে ব্যাট ও বলে ইনিংস উদ্বোধন করার কৃতিত্বটা ম্যাচ জিতিয়েই স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
দিনের শুরুর কথা চিন্তা করলে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বর্তমান অবস্থাকেও বেশ ভালো মনে হচ্ছে। ইংল্যান্ডের গতকালের স্কোরের সঙ্গে আরও ২২ রান যোগ করেছেন ফোকস ও অ্যান্ডারসন। ফলে ৩৪৬ রানে থামা ইংল্যান্ড তাই কাটায় কাটায় ৩০০ রানের লিড পেয়েছে। সে রান তাড়া করতে নেমে ভয়ংকর শুরু পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। মাত্র ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন ম্যাথুস। তাঁকে সঙ্গী পেয়ে দিমুথ করুনারত্নে প্রাধান্য বিস্তার করতে শুরু করেন। কিন্তু দলকে ১০০ পার করেই বিদায় নিয়েছেন করুনারত্নে (৫৭)। আদিল রশিদের লেগ স্পিন নয়, কিটন জেনিংসের বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিংয়েই ফিরেছেন এই ওপেনার। করুনারত্নেকে সুইপ করতে দেখে আগেই জায়গা পরিবর্তন করেন লেগ স্লিপে থাকা জেনিংস। প্রচণ্ড গতিতে ছোটা বল জেনিংস ধরতে না পারলেও তাঁর কাছ থেকে ছিটকে আসা বল সহজেই ধরেছেন উইকেটরক্ষক জেনিংস।
৭৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির পর রোশেন সিলভার (৩৭) সঙ্গেও ৭৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি গড়েন ম্যাথুস। সিলভা আলীর বলে আউট হওয়ার পর ডিকভেলার সঙ্গে দ্রুত ৪৫ রান জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিলেন ম্যাথুস। কিন্তু শেষ বিকেলের বৃষ্টির আগের ছোট ওই ঝড়েই যে শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে পড়ল।