>টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ টাই হলে হার-জিত নির্ধারণ করা হয় ‘সুপার ওভার’-এ। কিন্তু সুপার ওভারেও যদি দুই দলের রান সমান হয়? তখন জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় কীভাবে? আসুন এ বিষয়ে জেনে নেই
টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের রান সমান হলে ম্যাচ গড়ায় ‘সুপার ওভার’-এ। দুই দলকে একটি করে ওভার খেলতে দেওয়া হয় আবারও। ওই অতিরিক্ত এক ওভারকেই সুপার ওভার বলে। সুপার ওভারে যে দল বেশি রান করে, সে দল জিতে যায়। কিন্তু সুপার ওভারেও যদি রান একই হয়ে যায়, তখন?
আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রান করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরে দিল্লির ইনিংসও একই রানে থেমে যায়। ফলে দুই দলকে আবারও সুপার ওভারে ব্যাট করতে নামতে হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল, সুপার ওভারেও যদি দুই দলের রান একই থাকে? তখন ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে কী করে? স্বল্প প্রচলিত এই নিয়মের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা ও এই ম্যাচের ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে একজন—ডিন জোন্স।
সুপার ওভার দিয়েও যদি দুই দলকে আলাদা না করা যায়, সে ক্ষেত্রে মূল ম্যাচে যে দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, সে দলকে জিতবে। কালকের ম্যাচে দিল্লি ও কলকাতা দুই দলই ২৬টি করে বাউন্ডারি মেরেছিল। ফলে কোনোভাবে যদি সুপার ওভারে এই দুই দলের রান সমান থাকত, তবে বাউন্ডারি সংখ্যা দিয়েও এই দলকে আলাদা করা যেত না। তখন কী হতো? কে জিতত এই ম্যাচ?
টি-টোয়েন্টির আইন বলছে, দুই দলের স্কোর এক হয়ে গেলে, তারপরে সুপার ওভারেও দুই দলের রান সমান থাকলে, এমনকি মূল ম্যাচে দুই দলের বাউন্ডারি সংখ্যাও যদি সমান হয়, সে ক্ষেত্রে সুপার ওভারের শেষ বলে কোন দল কত বেশি রান নিয়েছে, তা দেখা হয়। ষষ্ঠ বলেও যদি দুই দল একই রান নেয়, তবে দেখা হয় পঞ্চম বলে কে বেশি রান নিয়েছে। এভাবে চতুর্থ, তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বলে রানসংখ্যাও বিবেচনায় আনা হয়, যদি একে একে সব বলেই দুই দলের রানসংখ্যা সমান থাকে।
সুপার ওভারেও রান একই হয়ে যাওয়া, এই ঘটনাও দেখেছে আইপিএল। এবং আশ্চর্যজনকভাবে মাঠে বসেই সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ২০১৪ সালের আইপিএলে কলকাতা বনাম রাজস্থান ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রান করে রাজস্থান, একই রান করে কলকাতাও। কলকাতার হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ২৯ রানে অপরাজিত থেকেও সাকিব দলকে জেতাতে পারেননি। পরে সুপার ওভারে ১১ রান করে কলকাতা। রাজস্থানও ঠিক ১১ রানই করে। শেষ বলে ৩ রান লাগত রাজস্থানের। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ জানতেন তাঁদের বাউন্ডারিসংখ্যা কলকাতার চেয়ে বেশি। যে কারণে একদমই চাপ নেননি। ৩ রান না নিয়ে সুপার ওভারের শেষ বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচটা আবারও ‘টাই’ করে দেন তিনি। অতিরিক্ত বাউন্ডারি মারার সুবাদে সেই ম্যাচটা জিতে যায় রাজস্থান। আর হার জোটে সাকিবদের কপালে।