সংবাদ সম্মেলনে অনুগত ছাত্রের মতো বসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪২ রান তাড়া করতে নেমে ৩ রানে হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক যেন প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন। টানা তিন হার সুপার টুয়েলভে—এর মধ্যে দুটি ম্যাচে ভাগ্য বিপর্যয় ঘটেছে ক্যাচ ছাড়ায়। মাহমুদউল্লাহ তা স্বীকার করতে কুণ্ঠা করলেন না।
হারের কারণ ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘বোলাররা ভালোই বল করেছে। আমার মনে হয় আবারও যে এক–দুটো সুযোগ এসেছিল, সেগুলো নিতে পারলে অন্তত ১০টা রান কম হতো। তখন আমাদের জন্য রান তাড়াটা হয়তো আরেকটু সহজ হতো। চেষ্টা করেছি, হয়নি। টি–টোয়েন্টি খেলাটা এমনই।’
সুযোগ বলতে মাহমুদউল্লাহ নিশ্চিতভাবেই ম্যাচে তিনটি ক্যাচ ছাড়া ও স্টাম্পিং করতে না পারা বুঝিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ক্যাচ ছাড়া ও স্টাম্পিং মিস করা তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়।
সপ্তম ওভারে চেজ ৯ রানে ব্যাটিংয়ের সময় মেহেদীর হাতে ফিরতি ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। ২৭ রানেও চেজের ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী। চেজ শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৩৯ রান করেন। ২২ বলে ৪০ রান করা নিকোলাস পুরান ২ রানে থাকতে তাঁকে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন লিটন দাস। এ সুযোগগুলো নিতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০০ রান তুলতে পারত কি না সন্দেহ!
সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ক্যাচ ছেড়ে প্রতিপক্ষের হাতে ম্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে হিসাব কষলে ৮–৯টি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এত বেশি ক্যাচ ছাড়লে টুর্নামেন্টে ভালো করাটা খুব কঠিন। তার মাশুল গুনেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল–স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হওয়ার পথে।
ক্যাচ ছাড়া নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের সেরা ফিল্ডারদের কাছে প্রত্যাশা থাকে। কেউ তো ইচ্ছা করে ক্যাচ ছাড়ে না, তবে সেরাদের কাছে প্রত্যাশা থাকে সুযোগগুলো নেবে। কিন্তু ম্যাচের পর ম্যাচ আমরা যেহেতু ভুলগুলো করছি, তাই এখন এটা অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। আমাদের ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে এবং করা উচিত।’
সুপার টুয়েলভে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচ জয়বঞ্চিত থেকে নিজেদের গ্রুপের তলানিতে রয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল।