প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর ফুল লেংথের বলটি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ওপেনার কুইন্টন ডি ককের ব্যাটের কানা নিয়ে লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে চলে গেছে। দিল্লির উইকেটকিপার ঋষভ পন্তকেও ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় সীমানার বাইরে। ইনিংসের ১৮তম ওভারের প্রথম বলেও উইকেট পেতেন মোস্তাফিজ। তাঁর স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মার্কাস স্টয়নিস। কিন্তু বল হাত ফসকে যায় দিল্লির ফিল্ডার ললিত যাদবের।
শেষ পর্যন্ত এ ম্যাচে কোনো উইকেটই পাওয়া হয়নি মোস্তাফিজের। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন বাংলাদেশের পেসার। তাঁর দল দিল্লি ক্যাপিটালসও লক্ষ্ণৌয়ের কাছে হেরেছে ৬ রানে।
দিল্লির ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস আর বাজে ফিল্ডিংয়ের সুবিধা নিয়ে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান করেছে লক্ষ্ণৌ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে দিল্লি। দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক পন্ত মিচেল মার্শের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। ভালোই খেলছিলেন দুজনে। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে তাদের ২৫ বলে ৬০ রানের জুটি ভাঙে মার্শের আউটে। এরপর ১৩ ওভারের মধ্যে ললিত আর পন্তও চলে গেলে দিল্লির একমাত্র আশা হয়ে উইকেটে ছিলেন রোভম্যান পাওয়েল।
কিন্তু অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৯ বলে ২৬ রানের জুটি গড়ার পর আউট হয়ে ফেরেন পাওয়েলও। তাঁর আউটে অনেকটাই ফিকে হয়ে যায় দিল্লির জয়ের আশা। কিন্তু অষ্টম উইকেটে অক্ষর আর কুলদীপ যাদবের ব্যাটিং আবার আশা জাগিয়ে তোলে দিল্লি শিবিরে। অসাধারণ ব্যাটিং করে ম্যাচটিকে তাঁরা শেষ ওভারের রোমাঞ্চে নিয়ে গেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। ১৯তম ওভারে ১৫ রান তুলতে পারেন কুলদীপ ও অক্ষর। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১ রান। তাঁরা নিতে পেরেছেন মাত্র ১৪ রান।
এর আগে লক্ষ্ণৌ দুই শর কাছাকাছি রান করতে পারে লোকেশ রাহুল ও দীপক হুদার দুটি অর্ধশতকে। শার্দুলের বলে আউট হওয়ার আগে ললিতের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৫১ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছয়ে ৭৭ রান করেছেন রাহুল। হুদা ৩৪ বলে ৫২ রান করেছেন ছয় চার ও এক ছক্কায়। দিল্লির পক্ষে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন শার্দুল। তবে ম্যাচের সেরা বোলার লক্ষ্ণৌয়ের মহসিন খান। ১৬ রান দিয়ে দিল্লির ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।