রাজস্থানের খেলায় খুঁত খুঁজে পেয়েছেন শেবাগ।
রাজস্থানের খেলায় খুঁত খুঁজে পেয়েছেন শেবাগ।

মোস্তাফিজরা ভরসা পাচ্ছেন না অধিনায়কে?

আইপিএলে কাল আবার জয় পেয়েছেন রাজস্থান রয়্যালস। টানা দুই হারের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে কাল ৬ উইকেটে হারিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানরা। সে জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন। অপরাজিত ৪২ রানের সে ইনিংসই রাজস্থানের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে দেয়নি ম্যাচটিকে।

আইপিএলে এবারই প্রথম অধিনায়কত্ব পেয়েছেন স্যামসন। গত মৌসুমের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে এবার আর দলেই ধরে রাখেনি রাজস্থান। আচমকা তাই কঠিন এক ভার চেপে বসেছে স্যামসনের ওপর। প্রথম ম্যাচে ১১৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন। কালও খেলেছেন জয় এনে দেওয়া এক ইনিংস। তবু বীরেন্দর শেবাগের মনে হচ্ছে, স্যামসনের ওপর ভরসা পাচ্ছে না তাঁর সতীর্থরা। স্যামসনকে অধিনায়ক পেয়ে নাকি খুশি নন মোস্তাফিজরা!

স্যামসনের অধিনায়কত্বে খুশি নন শেবাগ।

প্রথম ম্যাচে প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি স্যামসন। সে ম্যাচে শেষ ওভারে স্ট্রাইক পরিবর্তন করে মরিসকে ব্যাটিং না দিয়ে নিজেই শেষ বলে ৬ রান তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক। সে সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে, হেরেছে তাঁর দল। এ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে, যদিও কোচ কুমার সাঙ্গাকারা অধিনায়কের পক্ষেই মত দিয়েছেন। বলেছেন ক্রিস মরিস যতই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হোন না কেন, ওই পরিস্থিতিতে ১১৯ রান করা এক ব্যাটসম্যানেরই স্ট্রাইকে থাকা উচিত।

কোচ ভরসা রাখলেও স্যামসনের সতীর্থরা নাকি আস্থা পাচ্ছেন না তাঁর ওপর। মাঠে উনাদকাট, সাকারিয়া, মোস্তাফিজ বা জস বাটলারদের শরীরী ভাষায় নাকি এমন কিছুই টের পাচ্ছেন শেবাগ। এমনকি স্যামসনের মধ্যেও নাকি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে যা করা দরকার, সেটা স্যামসনের মধ্যে দেখছেন না শেবাগ, ‘ওর শরীরী ভাষা দেখে যা মনে হচ্ছে, ও অধিনায়ক হওয়ার সতীর্থরা খুব একটা খুশি না। কিন্তু এটা জানা কথা, কোনো খেলোয়াড় যদি নিজের মতো থাকতে পছন্দ করে এবং তাকে হঠাৎ অধিনায়ক বানিয়ে দেওয়া হয়, তখন খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে, মিশতে সময় লাগে তার। আমার মনে হচ্ছে সঞ্জু স্যামসনের জন্য এটা কঠিন হয়ে উঠছে।’

অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন পন্ত।

ক্রিকবাজের ভিডিও বার্তায় স্যামসনকে আরেক নতুন অধিনায়কের কাছ থেকে শিখতে বলেছেন। এ মৌসুমে আচমকা অধিনায়কত্ব পেয়েছেন ঋষভ পন্ত। নিয়মিত অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার চোট পেয়েছেন টুর্নামেন্টের আগে, তাই ২৩ বছর বয়সী পন্তকে অধিনায়ক বানিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর আগে আইপিএল বা বয়সভিত্তিক দলে অধিনায়কত্ব না করা পন্ত সে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন অনায়াসে।

কাজটা পন্ত যেভাবে করছেন, সেটা দেখেই স্যামসনকে শিখতে বললেন শেবাগ, ‘যখন কোনো বোলার অনেক রান দেয়, তখন অধিনায়ক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ঋষভ পন্তের ক্ষেত্রে এটা খেয়াল করেছি। সে এগিয়ে যায়, বোলারের কাঁধে হাত রেখে বলে, “কোনো সমস্যা নেই। তোমার বলে ৪০-৫০ রান হতেই পারে কিন্তু নিজের ফিল্ডিং অনুযায়ীই বল করো।” এটা একজন বোলারকে তাঁর অধিনায়কের ওপর আস্থা রাখতে সাহায্য করে। ফল যা-ই হোক না কেন, কোনো বোলার মার খেলে বা ব্যাটসম্যান রান না পেলে তাদের সাহস জোগাতে হবে।’