টেস্টের উইকেটকিপিং ছেড়েছেন অনেক আগেই। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিতই উইকেটের পেছনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে দুবার সহজ ক্যাচ ছাড়ায় মুশফিকের কিপিং নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ক্যাচ ফেলেছেন তিনি। গত তিন বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১০টি ক্যাচ ফেলেছেন মুশফিক।
তবু সাদা বলের ক্রিকেটে উইকেটকিপার হিসেবে মুশফিককেই চান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। উইকেটকিপিংয়ের প্রতি নিবেদনের কারণেই তামিমের সমর্থন পাচ্ছেন মুশফিক।
আজ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেছেন, ‘মুশফিকের কিপিং নিয়ে আমি খুবই খুশি। ক্যাচ হাতছাড়া হওয়া খেলার অংশ। সত্যি কথা বলতে আমি জানি সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করে। আর আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট বা সবার একটা মুহূর্তের জন্যও মনে হয় না যে মুশফিক কিপিং করবে না। সে অবশ্যই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে শুধু না পুরো সিরিজেই কিপিং করবে।’
মুশফিকের বাইরে অন্য কারও কথা চিন্তা করতে আরেক বাধা তাঁর অতীত রেকর্ড। মুশফিক এ নিয়ে ৩৪৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচে উইকেটকিপিং করেছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেটকিপিং করা ক্রিকেটারদের তালিকায় মুশফিক আছেন পাঁচে।
তামিম তাঁর দলে এমন অভিজ্ঞ উইকেটকিপারকেই উইকেটের পেছনেই দেখতে চান, ‘ক্যাচ হাতছাড়ার কথা বলছেন, মুশফিক কিন্তু কিছু দুর্দান্ত কাজও করেছে। ১৩-১৪ বছর ধরে একজন কিপার ক্যাচ ফেলতে পারে আবার এই সময়ে সে কিছু অবিশ্বাস্য ক্যাচও ধরেছে। আমার মুশফিকের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে এবং সে কিপিং করবে।’
মুশফিকের মতোই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে দলে পাচ্ছেন তামিম। অভিজ্ঞতা বিচারে শ্রীলঙ্কার তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে থেকে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। তারুণ্যনির্ভর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত জিততে সাকিব-মুশফিকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে, এমন আশা ওয়ানডে অধিনায়কের।
এ ব্যাপারে তামিমের আশা, ‘ক্রিকেটে অবশ্যই অভিজ্ঞতা ভূমিকা রাখে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কেমন খেলছেন, পরিকল্পনার পূর্ণতা কেমন দিতে পারছেন। শ্রীলঙ্কা যে দলটা এসেছে কমবেশি ওদের সঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়ায় খেলেছি। তারা খুবই ভালো দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যদি জিততে হয় তবে খুবই ভালো খেলতে হবে। অভিজ্ঞতা অবশ্যই একটা বিষয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যখন অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। কিন্তু তার জন্য আমাদের সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এসব যদি তৈরি করতে না পারি তাহলে যতই অভিজ্ঞ থাকি কোনো কাজে আসবে না।’