সাকিব আল হাসান নেই। চোটের কারণে তামিম ইকবালও খেলছেন না। বাকি ছিলেন শুধু মুশফিকুর রহিম। তাঁকে নির্বাচকেরা বিশ্রাম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু মুশফিক নিজে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ভিন্ন কথা বলছেন। তাঁর দাবি, টি-টোয়েন্টি দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে, বিশ্রাম দেওয়া হয়নি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে কাল শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিজ্ঞ বলতে আছেন শুধু টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ফর্মের কারণে সৌম্য সরকার আর লিটন দাসও বাদ পড়ায় ব্যাটিং অর্ডারের বাকিরা সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারেই নতুন।
মুশফিকের অনুপস্থিতি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অনুভব করবেন। সেটি তিনি জানালেন ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে, ‘আমি এটুকু বলতে পারি যে আমি হয়তো মুশফিককে মিস করব।’ তবে মুশফিকের বাদ পড়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বেশ কয়েকবার মাহমুদউল্লাহকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি ঘুরেফিরে একই উত্তর দিয়েছেন।
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘এটা টিম ম্যানেজমেন্টের কাউকে প্রশ্ন করলে সম্ভবত ভালো হবে। আসলে এটা পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। আমি নিজে এ মুহূর্তে এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
সিরিজ শুরুর আগে বিষয়টি নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চান না মাহমুদউল্লাহ। যে নতুন দলটি তাঁকে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েই শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়তে চান তিনি, ‘এটা ঠিক যে দলটি একেবারেই নতুন...দেখুন অভিজ্ঞতা সব সময়ই কাজে লাগে। সাকিব-মুশফিকরা থাকলে ওদের পরামর্শ সব সময়ই কাজে আসে এবং ওদের সঙ্গে খুব সহজেই মতামত ভাগাভাগি করা যায়। কিন্তু ওই জিনিসটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ হবে না। আমার যতটুকু জ্ঞান আছে, ওইটুকই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতাকে অতীতের ব্যাপার বানিয়ে পাকিস্তান সিরিজেই মনোযোগ দিতে চান মাহমুদউল্লাহ, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে কথাই বলতে চাচ্ছি না। আমি এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছি। যেটি অতীত, সেটি মনে আসতে দিলে বরং নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি যে বাংলাদেশের জন্য কঠিন, সেটি আলাদা করেই উল্লেখ করলেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে উঠে বাদ পড়ার আগপর্যন্ত তাদের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদারই মনে করা হচ্ছিল। বাংলাদেশের অবস্থা ছিল তার ঠিক উল্টো। এখন সেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ লড়াই মাহমুদউল্লাহর জন্য বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। তাঁকে লড়তেও হবে আনকোরা একটা দল নিয়ে, ‘আমি বলব, অবশ্যই সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। পাকিস্তান এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। আমাদের অনেক ক্রিকেটারই নতুন। সেদিক থেকে এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন।’