শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ছবি: এএফপি
শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ছবি: এএফপি

মুম্বাইয়ের রঞ্জি দলে টেন্ডুলকার–পুত্র

টেন্ডুলকারদের পরিবারে আরও একটি ডিসেম্বর মাস এল অফুরান আনন্দের উৎস হয়ে। ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের রঞ্জি ট্রফি দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ৩৩ বছর পর একই দলে সুযোগ হলো শচীন–পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকারের। শচীন কিংবদন্তি হয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন আট বছর আগে, অর্জুনের গন্তব্য কোথায়, সেটি না হয় ভবিষ্যতের হাতেই তোলা রইল। আপাতত ২২ বছর বয়সী অর্জুন আনন্দে ভাসছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের জায়গা করে নিতে পেরে। আনন্দ ভাসছেন তাঁর কিংবদন্তি বাবাও।

বাবার মতো আপাদমস্তক ব্যাটসম্যান নন অর্জুন। তিনি বাঁহাতি পেসার, সঙ্গে ব্যাটিংও পারেন। একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হওয়াই স্বপ্ন। এ বছরের শুরুতে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দলে ২০ লাখ রুপিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে একটি ম্যাচও খেলেননি। এরপর চোটের কারণে ছিটকে যান।

বাবা শচীন টেন্ডুলকার ও মা অঞ্জলি টেন্ডুলকারের সঙ্গে অর্জুন টেন্ডুলকার।

মুম্বাইয়ের হয়ে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও ২ ম্যাচ খেলেছেন অর্জুন। এবার তাঁর রঞ্জির মুম্বাই দলে সুযোগ পাওয়াটা হবে বড় ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পথে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অর্জুন ২০১৮ সালে ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। সেখানে খেলেছিলেন দুটি যুব টেস্ট।

অর্জুনের ওপর কিংবদন্তি বাবার প্রচ্ছন্ন ছায়া থাকবেই। থাকবে প্রত্যাশার চাপ। ক্রিকেটের সম্ভব–অসম্ভব প্রায় সব রেকর্ডই শচীন টেন্ডুলকারের দখলে। দেশের হয়ে করেছেন ১০০টি সেঞ্চুরি। জিতেছেন বিশ্বকাপ। এমন বাবার ছেলের কাছে প্রত্যাশাটা যে আকাশচুম্বীই হবে—এটা না বললেও চলছে।