এমন হারে মুশফিক–লিটনের জন্য খারাপ লাগছে মুমিনুলের
এমন হারে মুশফিক–লিটনের জন্য খারাপ লাগছে মুমিনুলের

মুমিনুলের খারাপ লাগছে মুশফিক–লিটনের জন্য

হতাশ তো মুমিনুল হবেনই। যে টেস্টে চতুর্থ দিনও হার অনেক দূরের বিষয় মনে হচ্ছিল, সে ম্যাচেই ১০ উইকেটে হারতে হলো বাংলাদেশকে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং-ব্যর্থতায় ম্লান হয়ে গেল সব প্রচেষ্টা। মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাসের চমৎকার দুটি ইনিংসও ম্লান। মুমিনুলেরও খারাপ লাগছে মুশফিক আর লিটনের ইনিংস দুটির মর্যাদা তাঁরা দিতে পারেননি বলে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথাই বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘মুশফিক ভাই আর লিটনের জন্য খুব খারাপ লাগছে। তারা খুবই ভালো খেলেছে। শ্রীলঙ্কা আমাদের চেপে ধরেছিল। পুরো বিষয়টাই ছিল মানসিক খেলার ব্যাপার।’

মানসিকভাবে শক্তিশালী দল নয় বাংলাদেশ। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচেই এটা প্রমাণ হচ্ছে। মুমিনুল বলেন, ‘আমরা হেরে যাই গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে।’ দলের মানসিক শক্তি বাড়ানোই এখন অধিনায়কের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, ‘আমরা যদি মানসিক শক্তি অর্জন করতে না পারি, তাহলে পরের সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোটা খুবই কঠিন হবে।’

হারের পর মাঠ ছাড়ছেন বাংলাদেশেন ক্রিকেটারররা

কাল সাকিবই বলেছিলেন বোলিং নিয়ে। যেখানে শ্রীলঙ্কার পেসাররা ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, উইকেট নিয়েছেন নিয়মিত, সেখানে আমাদের পেসাররা ছিলেন ব্যর্থ। ইবাদত লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেও ছিলেন অনেক খরুচে। মুমিনুলের চিন্তাটা বাংলাদেশের বোলিং নিয়েও, ‘আমাদের বোলিং নিয়েও কাজ করতে হবে। বিশেষ করে পেস বোলিং।’

কী করলে কী হবে, এটাই যেন ভেবে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। মুমিনুল নিজেও ফর্মে নেই অনেক দিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজের পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও কথা বলেনি তাঁর ব্যাট। হতাশা প্রকাশ করা ছাড়া আদতে তাঁর কিছু করারও নেই, ‘সত্যিই ম্যাচটা হতাশার। তবে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়েই হেরে যাই। এই সময়গুলোতেই আমরা ভালো করতে পারি না।’