মাহমুদউল্লাহর যে কীর্তি মনে করিয়ে দিল আইসিসি

মাহমুদউল্লাহ। ছবি: প্রথম আলো
মাহমুদউল্লাহ। ছবি: প্রথম আলো

করোনা-কালে ঘরে বসে ক্রিকেটপ্রেমীদের সময় কাটানোই কষ্টকর। প্রতিদিন খেলা দেখার অভ্যাস কাটা পড়েছে। খেলাধুলার সংস্থাগুলো তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে। নানা মজার ঘটনা শেয়ার করছে তারা। ভক্তদের জন্য থাকছে কুইজও।পরশু আইসিসি যেমন তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি প্রশ্ন করেছিল, আর সেখানে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।

নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার জন রিডের একটি ছবি পোস্ট করে আইসিসি। ক্যাপশনে লেখা হয়, 'টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি, ইনিংসে ৫ উইকেট এবং স্টাম্পিংয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন জন রিড। বলতে হবে তাঁর পর একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আর কার দখলে রয়েছে এ কীর্তি?'

আইসিসি আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জবাবটা দিয়ে দিলেও অনেকে হয়তো তার আগেই ধরে ফেলেছেন। বিশেষ করে ক্রিকেট পোকা হলে তো কথাই নেই। রিডের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি রয়েছে মাহমুদউল্লাহর। টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। পেয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখাও। ২০০৯ সালে কিংস্টনে অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এবার বাদ রইল স্টাম্পিং। মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং-বোলিং করলেও কিপিং গ্লাভসে তাঁকে উইকেটের পেছনে দেখাটা বিরলই বটে। সেটিও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে!

আছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে। সেটিও বেশি দিন আগের কথা না। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিনে কিপিং গ্লাভস পরে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। নিয়মিত উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম চোট পাওয়ায় কিপিং করছিলেন ইমরুল কায়েস। এক শ-র বেশি ওভার কিপিং করার পর আর পারছিলেন না এই ওপেনার। কারণ, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে ব্যাট করতে হতো (সেই ইনিংসে ১৫০ রান করেন ইমরুল)। মাহমুদউল্লাহকে তিনি বলেছিলেন, 'কাউকে (কিপিং) গ্লাভস পরতে হবে। আমার তো সামনে ব্যাটিং করতে হবে। একটু ভাবা দরকার।'

ফেসবুকে এই পোস্ট করেছে আইসিসি। ছবি: ফেসবুক

অগত্যা মাহমুদউল্লাহ কিপিং গ্লাভস পরে দাঁড়িয়ে যান উইকেটের পেছনে। তাইজুল ইসলামের বলে পাকিস্তানের দশম ব্যাটসম্যান জুলফিকার বাবরকে স্টাম্পিং করেন মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য এই আউটে তাঁর ভূমিকা ছিল খুব কমই। জুলফিকার এগিয়ে মারতে গেলে বল তাঁর পায়ে লেগে নিচু হয়ে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ওই ম্যাচে ফিল্ডার হিসেবেও ক্যাচ নিয়েছিলেন বর্তমানে টেস্ট দলের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে উইকেটরক্ষক হিসেবে স্টাম্পিং ও ফিল্ডার হিসেবে ক্যাচ নেওয়ার কীর্তি আর কারও আছে কি না তা গবেষণার বিষয়।

টেস্ট ইতিহাসে জন রিড ও মাহমুদউল্লাহই দুই ক্রিকেটার যাদের সেঞ্চুরি, ইনিংসে ৫ উইকেট ও স্টাম্পিং আছে। ১৯৫৮ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে স্টাম্পিং করেছিলেন সে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক রিড। ৬ সেঞ্চুরি এবং ইনিংসে একবার ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

ঠিক মাহমুদউল্লাহর মতোই স্টাম্পিং করেছিলেন বাংলাদেশের আরও এক বিকল্প উইকেটরক্ষক। সেটিও অভিষেক টেস্টেই। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ডিসমিসালটি যে এক বিকল্প উইকেটরক্ষকেরই! ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের প্রথম ইনিংসে সাবা করিমকে প্রায় একইভাবে স্টাম্পিং করেছিলেন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ। বাংলাদেশ দলের বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে আউট করার নজির গড়েছেন আরও দুজন—মেহরাব হোসেন অপি ও রাজিন