টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা একেবারেই খেলতে পারে না বাংলাদেশ—এই তো কিছুদিন আগ পর্যন্ত এমন একটা ধারণাই চাউর ছিল বিশ্ব ক্রিকেটে। গত বছরটা ওয়ানডে ক্রিকেটে সাফল্যের ঝান্ডা ওড়ানো বাংলাদেশের জন্যও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ছিল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ‘বদনাম’ দূর করা। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ফাইনালে উঠে সে মিশনে অনেকটাই এগিয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথমপর্বেও নিজেদের উন্নতির রেখাচিত্র ওপরের দিকেই স্থির রেখেছে তারা।
টি-টোয়েন্টিতে দলের এই বদলে যাওয়ার মূল মন্ত্র ভয়-ডরহীন ক্রিকেটই। ধর্মশালায় ওমানকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে সুপার টেন নিশ্চিত করার পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বললেন এমনটাই। কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কান কোচই নাকি দলের ভেতর এই ভয়-ডরহীন মনোভাবটা সঞ্চারিত করেছেন।
মাশরাফির মতে ভালো খেলার পূর্বশর্ত হচ্ছে মাঠে নিজেদের খেলাটা নির্ভয়ে খেলে যাওয়া, ‘যদি ভালো করতে হয়, তাহলে আপনাকে সাহসী হতেই হবে। ভয়-ডরহীন মনোভাব দিয়েই প্রতিপক্ষের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে সে ধরনের খেলাই খেলছি, এটা বিরাট ব্যাপার। কোচ আমাদের মধ্যে নির্ভয়ে খেলার আত্মবিশ্বাসটা ছড়িয়ে দিয়েছেন।’
সামনের দিনগুলোতে কঠিন পরীক্ষা। সুপার টেনে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপারটা মাথায় নিয়ে এসেছেন মাশরাফি। মুখিয়ে আছেন সেই পরীক্ষাগুলোতে অবতীর্ণ হতে, ‘সামনে আমাদের চারটি বড় ম্যাচ আছে। আমরা সেই ম্যাচগুলোর অপেক্ষায় আছি। আমরা জানি, এই ম্যাচগুলোতে ভুল করলে খেসারত দিতে হবে।’
দারুণ এক সেঞ্চুরির জন্য তামিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাশরাফি। তবে অধিনায়ক চান দারুণ ফর্মে থাকা তামিমকে যেন অন্যরাও একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, ‘তামিমকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই। সে তিনটা ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলল। তবে আমি আশা করি, তামিমের সঙ্গে অন্যরাও নিজেদের মেলে ধরবে সামনের দিনগুলোতে।’