মাশরাফির মতো ধারাবাহিক হতে পারেননি কেন শফিউল?

>শফিউলের, বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ পেসার। তবে ৯ বছরেও জাতীয় দলে জায়গাটা পোক্ত করতে পারেননি। কেন পারেননি, সে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো শফিউলকে

শফিউল ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। দুটি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থেকেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ বছর পার করে দিয়েছেন, তবু জাতীয় দলে খুব একটা থিতু হতে পারেননি। এখনো তাঁকে থাকতে হয় যাওয়া-আসার মধ্যে।

শফিউল একটি উদাহরণ মাত্র। বাংলাদেশ দলের যে সব পেসারদের ‘সিনিয়র’ তকমা আছে, এক মাশরাফি বিন মুর্তজা বাদে কেউ লম্বা সময় ধারাবাহিক সেবা দিতে পারেননি দলকে। বাকিরা কেন ধারাবাহিক হতে পারেননি, সে ব্যাখ্যায় যেতে চান না শফিউল। তিনি বরং আশাবাদী। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষ শফিউল আশাবাদী কণ্ঠেই জানালেন, দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ দলে খেলার মতো পেসার উঠে আসছে, ‘মাশরাফি ভাই অনেক অভিজ্ঞ। তাঁর মতো পেসার উঠে আসছে। মাশরাফি ভাইয়ের মতোই তারা সফল হবে। সবাই চেষ্টা করছে, সবাই তো একই রকম হয় না। তাঁর মতো আরও পেস বোলার বের হবে আশা করি।’

ভবিষ্যতের কথা সময়ের হাতে তোলা থাক। কিন্তু শফিউলের মতো বোলারের তো সুযোগ ছিল মাশরাফির ব্যাটনটা সামনে এগিয়ে নেওয়ার। সেটা যে পারেননি, স্বীকার করতে দ্বিধা নেই তাঁর, ‘৯ বছর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আমি খুশি না। প্রথমবার যখন জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছি, টানা তিন বছর নিয়মিত খেলেছি। মাঝে হয়তো ঠিকঠাক খেলতে পারিনি। চোট বা অন্যান্য কারণে। এখনো ক্যারিয়ার শেষ হয়নি। যদি সুযোগ পাই, যেটুকু সুযোগ পাই আশা করি একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

শফিউল যা করতে পারেননি, মোস্তাফিজ-আবু জায়েদরা তা পারবেন? সৌজন্য ছবি

প্রত্যাশা অনুযায়ী ধারাবাহিক ভালো করতে পারেননি, সেখানে নিজের দায় খুব একটা দেখছেন না শফিউল। ভাগ্যকেই দুষছেন ২৯ বছর বয়সী পেসার, ‘নিজের ম্যানেজমেন্টে সমস্যা না। আসলে দুর্ভাগ্য বলব। আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন সেটাই হয়েছে। সব সময় চেষ্টা করেছি নিজের কাজ ঠিকঠাক করতে। যখনই জাতীয় দলে ফিরে আসি, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো বা ডাক পাওয়ার পর চোটে পড়েছি, একে দুর্ভাগ্যই বলব। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই।’

ফিটনেস সমস্যা শফিউলের ছায়াশত্রু। গত পাঁচ বছরে চোটমুক্ত থেকে পুরো সিরিজে সব সংস্করণের ম্যাচ খেলতে পেরেছেন, বিরলই। তবে তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে। দুঃস্বপ্নের এ সফরে একটু ব্যয়বহুল হলেও ৬ উইকেট প্রাপ্তি তাঁকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। সে স্বপ্নের ডানা কতটা মেলে আসন্ন সিরিজ, সেটিই দেখার।