সারা দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির দাপট। ফরচুন বরিশাল ও সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে দিনের ম্যাচটি এর মধ্যেই পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টি থামায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও মিনিস্টার ঢাকার রাতের ম্যাচটি হবে, এমন আশা জাগে। সে আশাকে অবশ্য হতাশায় বদলে দিয়েছে সন্ধ্যার বৃষ্টি।
বিকেলে বৃষ্টি থামায় দুই দলের কয়েকজন ক্রিকেটারও ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন। এমন সময় সবার চোখ আটকে যায় মিনিস্টার ঢাকার আফগানি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদের দিকে। তিনি যে স্টেডিয়ামে মাঠে দাঁড়িয়ে ধূমপান করেছিলেন! ই-সিগারেট হাতে ধূমপান করা শেহজাদের পাশে ছিলেন তাঁর স্বদেশি ক্রিকেটার করিম জানাত ও ফজল হক ফারুকী।
শেহজাদের বিষয়টি ঢাকার মিডিয়া ম্যানেজারের চোখে পড়ে। শেহজাদকে তখন ধূমপান করতে বারণ করলেও মিডিয়া ম্যানেজারের কথা তিনি শুনছিলেন না। সবার সামনে তিনি ধূমপান করছিলেন। এরপর শেহজাদকে থামাতে এগিয়ে যান ঢাকার কোচ মিজানুর রহমান।
পরে ঢাকার আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এসে শেহজাদকে ধূমপান করা থেকে বিরত রাখেন। এ সময় মিজানুর ও তামিম মিলে শেহজাদকে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যান। বিষয়টি যে শেহজাদের ভালো লাগেনি, সেটি তাঁর শরীরী ভাষায় বোঝা যাচ্ছিল। জানা গেছে, এর মধ্যেই শেহজাদকে সতর্ক করা হয়েছে।
মাঠে এমন আচরণ যে ক্রিকেট আইনের পরিপন্থী, সেটি জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান ম্যাচ রেফারি ও বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রকিবুল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘এটা ক্রিকেট নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। ক্রিকেটাররা আমাদের সমাজে রোলমডেল, তাদের অনুসারী আছে। তাই এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন না করে, সে জন্য সতর্ক করে দেওয়া উচিত।’
বিসিবি এ ঘটনায় শেহজাদকে ভর্ৎসনা করেছে। সে সঙ্গে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে এক ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে শেহজাদের।
শৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় এর আগেও নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন শেহজাদ। নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করে এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরেও ছিলেন। এবার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিলেন আফগানিস্তানের এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।