>মাঠের ভেতরের বিরাট কোহলিকে সবাই আগ্রাসী বলেই চেনে। কিন্তু কোহলি কি আসলেই অমন মানুষ? অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের তেমনটি মনে হয় না...
কাল থেকেই শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু এই সিরিজে মর্যাদার। অনেকেই বলছেন সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সিরিজ জেতার দুর্দান্ত সুযোগ ভারতের সামনে। সে যা-ই হোক, এই সিরিজে ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র নিঃসন্দেহে বিরাট কোহলি। আর কোহলির বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস মিচেল স্টার্ক। কোহলির ব্যাটের সঙ্গে স্টার্কের গতিদারুণ উপাদেয় এক দ্বৈরথের জন্যই অপেক্ষা করে আছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে লড়াই শুরুর আগেই কোহলিকে প্রশংসায় ভাসালেন অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার। স্টার্কের মতে, মাঠে যেমন দেখা যায়, কোহলি মাঠের বাইরে নাকি ঠিক তেমন নন।
অস্ট্রেলিয়া-ভারত লড়াই কেবল ব্যাট-বলের লড়াইতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। মাঠের লড়াই ছাপিয়ে এটি অনেক সময়ই বাগ্যুদ্ধে রূপ নেয়। হরভজন-সাইমন্ডস, স্মিথ-কোহলি ; বছরের পর বছর ব্যাট-বলের লড়াইয়ের সঙ্গে কথার লড়াই যেন পরিণত হয়েছে ‘রীতি’তে। এবারও কি তেমন কিছুই হতে যাচ্ছে? স্টার্ক অবশ্য তেমনটি মনে করেন না, ‘আমার তা মনে হয় না। মাঠে আমাদের দারুণ লড়াই হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সবকিছুই শেষ হয়েছে হাসি-ঠাট্টার মধ্যে দিয়ে। টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমরা জমিয়ে আড্ডাও দিয়েছি।’
স্টার্কের কথায়ও ঝরেছে প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি শ্রদ্ধা। দু'জন আইপিএলে এককালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতেন, তাই মাঠ ও মাঠের বাইরে কোহলিকে বেশ ভালোভাবেই চেনেন স্টার্ক, ‘আমি কোহলিকে যত ভালো করে চিনি, অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্রিকেটারই সে রকম চেনে না। আমার বেশির ভাগ সতীর্থ কোহলিকে শুধু মাঠেই দেখেছে। যেমনটা লাখ-লাখ দর্শক দেখে। সেখানে ও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী, সেরা হতে সবকিছু উজাড় করে দিচ্ছে। আবার মাঠের বাইরে ও সম্পূর্ণ অন্য এক ছেলে। সেখানে কোহলি ফিফা (কম্পিউটার গেমস) খেলছে, দলের ছেলেদের সঙ্গে মিশে হইচই করছে।’
দেশের জার্সিটাই কোহলিকে তাতিয়ে দেয়, যেমনটি তাতায় স্টার্ককেও, ‘ব্যাপারটা আমার ক্ষেত্রেও ঘটে। আরও অনেকের ক্ষেত্রেই নিশ্চয়ই ঘটে। আসলে সবাই দেশের হয়ে সেরাটা যে দিতে চায়।’