>১৮ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে মুশফিক-লিটন ধাক্কাটা ভালোই সামলে নেন। কিন্তু হঠাৎ ভূত চাপল লিটনের মাথায়। সেটি সংক্রমিত হলো পরের তিন ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও। ১৪ বলের মধ্যে ফিরে গেলেন লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। লিটনের আত্মহননের পর মুশফিক-সাকিবের দুই পাগুলে দৌড়ে ৬ রানের মধ্যে নেই ৩ উইকেট। ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮১ থেকে ২০.৫ ওভারে স্কোর হয়ে গেল ৫ উইকেটে ৮৭।
ওভার ১৮.৪
দলে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে গত কিছু দিনে। লিটন যেন আজ পণ করেছিলেন সব কথার জবাব দিতে হবে। এগোচ্ছিলেন ভালোভাবেই। আর তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশফিক। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটি ৬৩ রান বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছে বড় স্কোর গড়তে। রশিদ খান যে জুজু নয়, সেটি প্রমাণ করতে প্রথমে একটা বাউন্ডারি মারলেন। পরের বলে নিজেকে বিপদে ঠেলে দিয়ে সুইপ করার চেষ্টা—জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েও নিভে গেলেন বড় অসময়ে। লিটন করতে পারলেন ৪১ রান।
ওভার ১৮.৬
একে কী বলবেন? পাগলামো ছাড়া আর কী! টানা ব্যর্থতায় হতাশ, বিষণ্ন—মানুষ অনেক কিছুই হয়। তাই বলে স্বাভাবিক ভাবনাটাও ভাবতে পারবে না? সাকিব নেমেই কী করলেন, রশিদ খানের গুগলি ফ্লিক করেই দিলেন দৌড়। সে এমনই দৌড়, বলটা ঠিক ফিল্ডারের হাতে জমেছে, সেটিও দেখলেন না! পরিণতি—সামিউল্লাহ শেনওয়ারির সরাসরি থ্রোয়ে শূন্য রানে রানআউট।
ওভার ২০.৫
সাকিবের রানআউট থেকে শিক্ষা নিতে পারেননি অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মুশফিক কিংবা নতুন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস । রশিদের পরের ওভারের পঞ্চম বলটা ব্লক করেই ইমরুল কায়েস দ্বিধায় পড়ে গেলেন রানটা নেবেন কি নেবেন না। যখন ‘না’ করেছেন ততক্ষণে স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যান মুশফিক অর্ধেক পথ পেরিয়ে গেছেন। মোহাম্মদ নবীর থ্রোয়ে রশিদ ঠিকঠাক স্টাম্পে বলটা লাগিয়েছেন কি না, এ নিয়ে খানিকক্ষণ গবেষণা চলল। তবে শেষ পর্যন্ত মুশফিকের পরিণতি রানআউট ছাড়া আর কিছু নয়!