টপ অর্ডারে ব্যর্থতা ভারতকে ভুগিয়েছে
টপ অর্ডারে ব্যর্থতা ভারতকে ভুগিয়েছে

গাভাস্কারের দুশ্চিন্তা

ভালো বোলারের বিপক্ষে রান করতে পারে না ভারত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। ফেবারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েও এভাবে ব্যর্থ হলো আয়োজক দল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গেছে। এবার সুপার টুয়েলভে ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রথম দুই ম্যাচে। গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারই এবারের বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায় নিশ্চিত করে দিয়েছে।

দুই ম্যাচেই ভারতের টপ অর্ডারকে ভুগতে দেখা গেছে। সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারের ধারণা, ভালো বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো করতে পারে না ভারত। আর এটাই দলটির ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে আইসিসির টুর্নামেন্টে।

পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন রোহিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৫১ রান তুলতে পেরেছিল ভারত। সে রানকে অতি অল্প মনে করিয়েছেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়টি ছিল ১০ উইকেটের। তবে ভারতের মূল সর্বনাশ হয়েছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। কিউইদের বিপক্ষে টেনেটুনে করা ১১০ রানই ভারতকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। দুই ম্যাচেই এর পেছনে প্রতিপক্ষের প্রথম স্পেল ভূমিকা রেখেছিল।

পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৩৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫ রানেই হারিয়েছিল ২ উইকেট। সুনীল গাভাস্কার বলছেন, ভারতের এ রোগ নতুন নয়। নতুন বলে ভালো বোলিং গত কিছুদিন ভারতকে ঝামেলায় ফেলে দিচ্ছে।

রাহুলও প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন

স্পোর্টস টকের সঙ্গে কথা বলার সময় গাভাস্কার বলেছেন, ব্যর্থতা থেকে বের হতে খুব বেশি পরিবর্তনের দরকার নেই। তবে পাওয়ারপ্লের ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হবে নতুন করে, ‘দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। কারণ, ভারত তো সব ম্যাচ হারেনি। দুই ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল এনে দিতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। আর এ কারণেই ভারতের এই অবস্থা। এটায় পরিবর্তন আনতে হবে।’

ভারতের মূল সমস্যাটা কোথায়, সেটা আরও বিস্তারিত বলেছেন গাভাস্কার, ‘গত কয়েকটি আইসিসি টুর্নামেন্টেই দেখা গেছে, প্রথম ৬ ওভারে যখন ৩০ গজের বাইরে মাত্র ২ জন ফিল্ডার থাকে, ভারত এর সুবিধা নিতে পারে না। এ কারণেই যখন শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হয়, যাদের ভালো বোলার আছে...ভারত রান করতে পারে না। এখানে পরিবর্তন আনতেই হবে।’