হরভজন সিং তাহলে হার থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন! গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বড় বড় কথা শুনিয়েছিলেন সাবেক অফ স্পিনার। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান যে কখনো জিততে পারে না, এ নিয়ে অহংকারপ্রসূত আত্মবিশ্বাস থেকে পাকিস্তানকে বলেছিলেন আগেই হার মেনে নিতে। আর ভারত কি না প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের কাছে হেরে গেল গত বিশ্বকাপে, সেটাও ১০ উইকেটের ব্যবধানে।
গত কয়েক বছরের ধারা মেনে এবারও বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচ নিয়ে এবার কোনো ভবিষ্যদ্বাণীর ঝুঁকি নিতে রাজি নন হরভজন।
আগামী ২৩ অক্টোবর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। সবশেষ দেখা হওয়ার ঠিক ৩৬৫তম দিনে এমসিজিতে আবার দেখা হচ্ছে তাদের। এ ম্যাচ নিয়ে আগ থেকেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, যেমনটা হয়েছিল গত বছর বিশ্বকাপের আগেও। ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবরের ম্যাচের আগে যেমন পাকিস্তানকে পাত্তা দিচ্ছিলেন না ভারতের কেউ। হরভজন তো ম্যাচটা আয়োজনের কোনো কারণই দেখছিলেন না।
স্টার স্পোর্টসকে বলেছিলেন, ‘আমি শোয়েব আখতারকে বলেছি, পাকিস্তানের এ ম্যাচ খেলার দরকার নেই; ওদের উচিত ম্যাচটা ওয়াকওভার দেওয়া। আপনারা খেলবেন, আবার হারবে এবং আবার মন খারাপ হবে। আমাদের দল পরিপূর্ণ, খুব শক্তিশালী এবং আপনাদের ছেলেদের খুব সহজে হারাবে।’
ম্যাচের আগে শোয়েব আখতার নিজেও পাকিস্তানের খুব একটা সুযোগ দেখেননি। কিন্তু ম্যাচে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। ভারতের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল, বোলাররাও পারেননি দলের বড় পরাজয় এড়াতে। পাকিস্তানের সমর্থকেরা তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হরভজনকে খোঁচা মেরেছেন সুযোগ বুঝে।
এ বছর তাই সাবধান হয়েছেন হরভজন। এ বছর আর ম্যাচ নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করতে রাজি নন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা অফ স্পিনার। শোয়েব আখতারের সঙ্গে আড্ডার ছলে বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বছর আমি কোনো বিবৃতি দেব না এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কে জিতবে, এ নিয়ে কথা বলব না। মউকা মউকা বলেন আর যা–ই বলেন, দেখি না কী হয়। কারণ, গতবার বলার পর খুব বাজে কিছু হয়েছে।’
শোয়েব আখতারও হরভজনকে ভবিষ্যদ্বাণী না করতে বলে দিয়েছেন। ভারতীয় স্পিনারও এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।