>পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের মতে, ভারত ছাড়া অন্য কোনো দলে খেললে শেবাগ টেস্টে ১০ হাজার রান করতে পারতেন।
১৯৯৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয় বীরেন্দ্রর শেবাগের। সীমিত ওভারের খেলায় যোগ্যতা প্রমাণ করেই ২০০১ সালে তাঁর গায়ে ওঠে সাদা জার্সি। ২০১৩ সালে টেস্ট অধ্যায় শেষ করার আগে ১০৪ টেস্টে ১৮০ ইনিংসে মারকুটে এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৫৮৬ রান। ভারতের হয়ে না খেলে অন্য যে কোন দলের হয়ে খেললে শেবাগের রান ১০ হাজারের বেশি থাকত বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শেবাগ। পরে অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর আগ্রহে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে বনে যান বিধ্বংসী ওপেনার। ওয়ানডে ও টেস্টে অনেক দিন শচীন টেন্ডুলকারের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন। ভারতীয় দলে তখন তারকা ব্যাটসম্যানদের ছড়াছড়ি। শচীন ছাড়াও রাহুল দ্রাবিড়, গাঙ্গুলী, ভিভিএস লক্ষণদের মতো বিশ্বসেরা তারকারা। তাঁদের মাঝে আলাদাভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তোলা কঠিন কাজই বটে!
শেবাগ তা পারেননি, তা নয়। ভালোই পেরেছেন। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফের মতে, শচীন-গাঙ্গুলীদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন শেবাগ। নাহলে শেবাগের নামের পাশে টেস্টে ১০ হাজার রান থাকতে পারত বলে মনে করেন লতিফ, 'শেহবাগের রেকর্ড তাঁর হয়ে কথা বলে। টেস্টে আট হাজারের বেশি রান আছে তাঁর। তাঁকে সব সময় কারো না কারো ছায়ায় থেকে খেলতে হয়েছে। শচীন–দ্রাবিড়ের সঙ্গে খেলার সুবাদে তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতে হয়েছে। অন্য যে কোনো দেশের হয়ে খেললে সে ১০ হাজার রান করতে পারত।'
ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপে তারকার ছড়াছড়ি থাকলেও শেবাগের ব্যাটিংয়ের ধরণই প্রতিপক্ষ বোলারদের কাছে তাঁকে বেশি ভয়ের কারণ বানিয়ে রেখেছিল বলে মনে করেন লতিফ, ,'শুরু থেকেই আক্রমণে যেতো শেবাগ। ওপেনাররা শুরুতে দেখে শুনে খেলে, পিচের ধরন বুঝে। গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আকরামের মতো বোলাররা কেমন বল করছেন, তা বুঝে ব্যাট করতেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু শেবাগ ছিল অন্য ধাঁচের, কাউকে ভয় পেত না।'