প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাস দেড়েক আগেই ভারতকে হারিয়ে গত কয়েক বছরে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সাফল্যের স্বীকৃতি বুঝে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে গত কয়েক বছরে ঘরে ও ঘরের বাইরে সাফল্য বিবেচনা করলে সেরা দল হিসেবে দুটি দলের নামই নিতে হয়। সে দুই দল ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সেরা কে, সেটি জানা যাবে কয়েক দিন পরই। আগামী বুধবার পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ভারত।
ট্রেন্ট ব্রিজে শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজকেই নিজেদের মাপকাঠি মানছেন ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিচ। বছরের শুরুতে ভারতে সফর করতে যাওয়া ইংল্যান্ড ভালো শুরুর পরও হেরে এসেছিল। এবার ঘরের মাটিতে ভারতকে হারিয়েই নিজেদের শক্তি দেখাতে চান লিচ।
ভারতের সে সফরে ইংল্যান্ড দুটি লক্ষ্য নিয়ে গিয়েছিল। ভারতকে সিরিজ হারানো এবং বড় ব্যবধানে জিতে ঘরের মাঠে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করা। কোনোটিই হয়নি। নিজেদের ঘরের অন্য দুই দলকে আতিথ্য দিতে হয়েছে তাদের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রেই সে বদলা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ড।
সিরিজের আগে অবশ্য বড় এক ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিক দলটি। মানসিক অবসাদে ভোগা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস আপাতত ক্রিকেট থেকে সরে গেছেন। ২০১৯ অ্যাশেজে স্টোকসের সঙ্গে অবিশ্বাস্য ৭৬ রানের এক জুটি গড়েছিলেন লিচ। জুটিতে মাত্র ১ রান অবদান ছিল ছিল লিচের। স্টোকসের মতো খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে নামা ইংল্যান্ডের জন্য তাই বড় এক চ্যালেঞ্জ।
ভারত সফরে ১৮ উইকেট পেয়েছিলেন লিচ। সে পারফরম্যান্সই ঘরের মাঠে আরও ভালো কিছু করার সাহস দিচ্ছে এই বাঁহাতি স্পিনারকে। দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘এদের বিপক্ষে যে আমি বল করতে পারি এবং ভালো করতে পারি, এই বিশ্বাস এসেছে। উইকেট যদি ভালো হয়, তাহলে আপনার দক্ষতা হলো শুধু একটু মানিয়ে নিতে হবে। আমি ইংল্যান্ডে স্পিন বল করতে মজা পাই। এখানে উইকেট একটু শুকনা এবং অবশ্য খেলায় ভালো ভূমিকা রাখে। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজই বলে দেবে আমরা এখন কোথায় আছি।’
করোনাকালে কোয়ারেন্টিন পর্ব ও টানা জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকে অনেক খেলোয়াড়ই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড যদিও নিয়মিত ছুটি দিয়ে খেলোয়াড়দের এ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। তবু বেন স্টোকসের মানসিক অবসাদ ঠেকানো যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অনেক ক্রিকেটারই তাঁর পথে যেতে পারেন। বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের কথা মাথায় রেখে ক্রিকেট থেকে সাময়িক ছুটি নেওয়ার কথা ভাবছেন কেউ কেউ। তবে জ্যাক লিচ সে পথে এগোবেন না বলেই জানিয়েছেন।
জ্যাক লিচ বলেন, ‘আমি সব সময় ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে এগোই। আমি এখন ভারত সিরিজেই চোখ রাখছি। যদি এখানে ভালো না খেলি, তাহলে তো আমি হয়তো শীতে (অস্ট্রেলিয়া সিরিজে) থাকবই না। আপনার সামনে যা আছে, সেটা নিয়েই ভাবতে হবে। এটা এমন কিছু, যা নিয়ে বেশ আগ্রহী। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা। এটাই সর্বোচ্চ পরীক্ষা এবং এটার দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বেড়ে উঠি এবং ভাবি, ওয়াও, এটা দুর্দান্ত! কিন্তু আমাকে আমার সামনে যা আছে, তা নিয়ে ভাবতে হবে, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ।’