অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউটের পর ভারতের কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। মেলবোর্নে পরের টেস্টেই ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দাপট দেখিয়ে মেলবোর্নে স্বাগতিকদের হারিয়েছে ৮ উইকেটে।
এখন তাই ভারতেরই ভূয়সী প্রশংসা শোয়েবের মুখে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের বাকি দুই টেস্টেও নাকি ভারতই দেখাবে দাপট। এমনকি ভারতকেই নাকি সিরিজ জিততে দেখছেন তিনি! স্পোর্টস টুডেতে বলেছেন, ‘১০-১৫ বছর আগে কে চিন্তা করেছিল অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে ভারত বা পাকিস্তান কিংবা কোনো উপমহাদেশের দলের কাছে হারবে? এখন সেটাই হচ্ছে। সিরিজে আমি লড়াইয়ের পর লড়াই দেখতে চাই। ভারত সিরিজ জয় করুক, এটাই দেখতে চাই। কারণ, ভারত সিরিজ জিতলে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ উদাহরণ সৃষ্টি হবে।’
তবে ভারতের কাজটা নিশ্চয়ই সহজ হতে দেবে না স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট সিডনিতে। নিয়মিত ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের চোট থেকে সিডনি টেস্ট দিয়ে দলে ফেরার কথা। ওয়ার্নার ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপ কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। সিরিজের শেষ টেস্ট আবার ব্রিসবেনে। ইতিহাস বলে, ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো চাট্টিখানি কথা নয়।
ভারত অবশ্য ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া গিয়েই নতুন করে ইতিহাস লিখেছিল। বিরাট কোহলির ভারত দুই বছর আগে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয় করে আসে। এবার প্রথম টেস্ট খেলে কোহলি গেছেন ছুটিতে। কিন্তু দায়িত্ব রেখে গেছেন অজিঙ্কা রাহানের হাতে।
আর অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর মেলবোর্নে কোহলিহীন ভারতকে একা টেনেছেন সেই রাহানেই। মেলবোর্নে রাহানে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি ও ক্রিকেটীয় ব্যক্তিত্বের যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তাতে মুগ্ধ হয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। শোয়েবও তাঁদের একজন, ‘অজিঙ্কা রাহানে এত শান্ত ও চুপচাপ, সে কেউকে বাজে কথা বলে না, চিৎকার করে না। নিরিবিলি নিজের কাজটা করে যায়। খুবই ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ছেলেরা হঠাৎ করেই পারফরম্যান্স করেছে।’
ভারতের বিকল্প খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছেন সাবেক এই পাকিস্তানি গতি তারকা। বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মার মতো নিয়মিত ক্রিকেটাররা না থাকার পরও ভারত নতুনদের নিয়ে সিরিজে টিকে আছে, ‘ভারতের শক্তি যারা মাঠে খেলছে তারা নয়, যারা বেঞ্চে বসে আসে তারাই মূল শক্তি। যারা সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছে। পারফর্ম করেছে। প্রথম টেস্টে বাজে হারের পর পরের টেস্টে দাপট দেখিয়ে জেতা দলের চরিত্রের প্রমাণ রাখে।’