পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করার পর চাপে আছে ভারত দল। এই চাপ থেকে তারা পরের ম্যাচেই বেরিয়ে আসতে চায়। আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফিরতে চায় জয়ে। তবে জয়ে ফিরতে ভারতের একাদশে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। একই সঙ্গে একটি কথাও ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি—বেশি পরিবর্তন এনে দলে আতঙ্ক তৈরি করা যাবে না।
গাভাস্কার পরের ম্যাচের জন্য ভারতের একাদশে দুটি পরিবর্তন চান। পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া দেখে গাভাস্কারের মনে হয়েছে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও ফাস্ট বোলার ভুবনেশ্বর কুমারকে একাদশের বাইরে রাখা উচিত। গাভাস্কারের কথা, ‘হার্দিক পান্ডিয়া যদি তার কাঁধের চোটের কারণে বোলিংই না করে...ঈশান কিষান তো দুর্দান্ত ছন্দে আছে, তাকে বিবেচনায় নেওয়া যায়। এ ছাড়া ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় শার্দুল ঠাকুরকে একাদশে রাখার বিবেচনা করা যায়।’
স্পোর্টসতাকে কথা বলার সময় বিরাট কোহলিদের একটি পরামর্শও দিয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি, ‘আরেকটা বিষয়ও আছে। দলে যদি বেশি পরিবর্তন আনা হয়, তাহলে প্রতিপক্ষের কাছে একটা দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে যাবে যে আপনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’
একজন অলরাউন্ডার হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং করেননি পান্ডিয়া। অথচ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেছিলেন যে পান্ডিয়া কমপক্ষে দুই ওভার বোলিং করবেন। পান্ডিয়া অবশ্য গতকাল ভারতের অনুশীলনে নেটে বোলিং করেছেন এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর বোলিং করার সম্ভাবনাও আছে। কোহলিরা যেটাই করুন না কেন, খুব দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে আবারও না করেছেন গাভাস্কার।
গাভাস্কার ভারত দলের সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনিতে ভারতের দলটি ভালো। এটা ঠিক যে তারা ভালো একটি দলের বিপক্ষে হেরেছে। এর মানে এই নয় যে ভারত পরের ম্যাচটি জিতবে না বা টুর্নামেন্ট জিতবে না। পরের চারটি ম্যাচ জিতলে ভারত সেমিফাইনালে যাবে। এরপর হয়তো ফাইনালেও উঠবে।’