তারায় ঠাসা এক ক্রিকেট ম্যাচ। যেখানে কোহলি–রোহিত–পান্ডিয়া–পন্তরা খেলছেন রুট–কামিন্স–সাকিব–উইলিয়ামসদের বিপক্ষে। ভারত সরকার নমনীয় হলে থাকতে পারেন বাবর–রিজওয়ানরাও।
কল্পগল্প নয়, আগামী মাসেই বাস্তবে অনূদিত হতে পারে এই সম্ভাবনা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে যে ভারত সরকার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ে অনুরোধ করেছে ভারত ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করতে। সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোলে আগামী ২২ আগস্ট হবে সেই ম্যাচ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিসিসিআইকে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দিয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে ভারত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ হিসেবে পালন করছে। সেই মহোৎসবের অংশ হিসেবেই ভারতের সঙ্গে বিশ্ব একাদশের ম্যাচ আয়োজন করতে চাচ্ছে দেশটির সরকার।
তবে এনডিটিভি বিসিসিআইয়ের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে, ‘আমরা ২২ আগস্ট ভারতীয় একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনে সরকারের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। বিশ্ব একাদশের জন্য অন্তত ১৩–১৪ খেলোয়াড় দরকার। খেলোয়াড় পাওয়া যাবে কি না, আমরা সেটিই খতিয়ে দেখছি।’
ওই সময়ে ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলবে। চলবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (সিপিএল)। বিসিসিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, তারা চেষ্টা করবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে হলেও তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে।
২২ জুলাই বার্মিংহামে শুরু হবে আইসিসির বার্ষিক সভা। সেই সভায় যোগ দিতে যাওয়া বিসিসিআইয়ের কর্তারা অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কাছে খেলোয়াড় চাইতে পারে।
শুধু বিদেশি খেলোয়াড়ই নয়, ভারতের খেলোয়াড়দের জন্য সূচি মেলানো কষ্টকর হবে। ভারতের জিম্বাবুয়ে সফর শেষ হবে ২০ আগস্ট। দুদিনের মধ্যে দেশে ফিরে খেলতে হবে তাঁদের। তবে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্তরা জিম্বাবুয়ে যাচ্ছেন না। জিম্বাবুয়ে থেকে এসেই আবার ২৭ আগস্ট থেকে শুরু এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে ভারতীয় দল।
বিশ্ব একাদশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ২০১৮ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি আয়োজিত হয়েছিল ক্যারিবিয়ানে হারিকেনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল ওঠাতে।