হোক ছেলেদের বা মেয়েদের, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই উত্তেজনার ছড়াছড়ি। আর সেই ম্যাচ যদি হয় বিশ্বকাপে, তাহলে তো কথাই নেই! সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছেলেদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনায় কেঁপেছে ক্রিকেট–বিশ্ব। এবার মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের উত্তেজনা। নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৬ মার্চ যে মুখোমুখি হবেন ভারত ও পাকিস্তানের মেয়েরা।
রাজনৈতিক দিক থেকে দুই দেশের শীতল সম্পর্কের কারণে এখন আর ছেলেদের ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয় না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের দেখা হয় শুধু আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতেই। মেয়েদের ক্রিকেটেও একই অবস্থা। তাই বিশ্বকাপ বা আইসিসির অন্য কোনো টুর্নামেন্টে এখন ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানে অন্য রকম উন্মাদনা। এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ মনে করেন, এটা শুধু সমর্থকদের জন্যই নয়, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দুই দেশের খেলোয়াড়দের জন্যও বিরাট এক ব্যাপার।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দুই দেশের খেলোয়াড়দের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝাতে গিয়ে মারুফ বলেছেন, ‘নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ বড় এক মঞ্চ।’ এটুকু বলে একটু যেন দম নিলেন মারুফ। হয়তো সতীর্থদের ওপর চাপ বাড়াতে চান না বলেই মারুফ যোগ করেছেন, ‘তবে দিন শেষে এটা একটা ক্রিকেট ম্যাচই। আর ম্যাচটা জিততে হবে মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকঠাকভাবে প্রয়োগ করে।’
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একেকটি ম্যাচ দুই দেশের উঠতি ক্রিকেটারদের জন্যই প্রেরণার বড় একটি উৎস বলে মনে করেন মারুফ, ‘এই ম্যাচ পাকিস্তান ও ভারতে লাখ লাখ মেয়েকে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করার বড় একটি সুযোগ। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দ্বৈরথ এটা এবং এই দ্বৈরথ অগুনতি চোখকে আকর্ষণ করে।’ পাকিস্তানের হয়ে দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মারুফ এরপর বলেন, ‘আমি আশা করছি, ম্যাচটি দুই দেশের মেয়েরা দেখবে এবং ক্রিকেট খেলায় আসতে অনুপ্রাণিত হবে।’
ছেলেদের ক্রিকেটের মতো এ ম্যাচেও ভারতের মেয়েদেরই ফেবারিট মনে করছেন বেশির ভাগ মানুষ। মারুফও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মিতালি রাজের নেতৃত্বে এগিয়ে চলা ভারত দলকে, ‘ভারত দল হিসেবে অসাধারণ। তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অনেক ভালো। সম্প্রতি তারা দলে বেশ কয়েকজন ভালো নতুন ক্রিকেটার পেয়েছে।
বিশ্বকাপের শুরুটা পাকিস্তানকে করতে হচ্ছে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তবে নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকার কথাও জানিয়ে দিলেন মারুফ, ‘আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা। আমার যদ্দূর মনে পড়ে, আমরা এর আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলিনি। লক্ষ্যটা অর্জন করার মতো উপাদান আমাদের দলটিতে আছে বলেই মনে করি আমি।’