অকল্যান্ডে প্রথম ম্যাচে দুই শ ছাড়ানো স্কোর করেও রক্ষা পায়নি নিউজিল্যান্ড। একই ভেন্যুতে দুই দলই স্কোয়াডে পরিবর্তন না এনে নেমেছিল আজ। পরিবর্তন আসেনি ম্যাচের ফলাফলেও। প্রথম ম্যাচের চেয়ে ৭১ রান করেও আজ একটু লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো। স্বাগতিক দলের ১৩২ রান ১৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পার করেছে ভারত।
আজ নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল ভালোই। পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান তুলে ফেলেছিল প্রায় কোনো ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই। ষষ্ঠ ওভারের একদম শেষ বলে ২০ বলে ৩৩ কারা গাপটিল ফিরতেই সেই যে পথ হারাল নিউজিল্যান্ড, আর ফেরা হয়নি তাদের ম্যাচে। কলিন মানরো ও কেন উইলিয়ামসন ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাটিং করেছেন তুলনামূলক কঠিন উইকেটে। টিম সাইফার্ট শেষ দিকে ২৬ বলে ৩৩ রান এনে না দিলে আজ ১২০ তুলতেও কষ্ট হতো স্বাগতিকদের। ৫ উইকেট হাতে রেখেও মাত্র ১৩২ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। রবীন্দ্র জাদেজা ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। কিপটে বোলিং করেছেন যশপ্রীত বুমরা (২১/১) ও মোহাম্মদ শামিও (২২/০)।
১৩৩ রানের লক্ষ্যটা ভারতের জন্য কঠিন বানানোর চেষ্টা করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই বিদায় নিয়েছেন রোহিত শর্মা। রান তাড়া করায় সিদ্ধহস্ত বিরাট কোহলিও ১২ বলে মাত্র ১১ করে ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। ৩৯ রানে দুই উইকেট হারানো দলকে প্রথমে থিতু করেছেন ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ার। দুজনের ৮৬ রানের জুটি ম্যাচটা একদমই একপেশে বানিয়ে দিয়েছে। এক চার ও ৩ ছক্কা মারা আয়ার চতুর্থ ছক্কাটি মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে ফিরেছেন ৪৪ রানে। ৩৩ বলের ইনিংস খেলে আয়ার যখন ফিরছেন, ভারতের জয়ের জন্য তখনো দরকার ৮ রান।
প্রয়োজনীয় রান নিতে আর ছয় বল দরকার হয়েছে ভারতের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ফিফটির দেখা পাওয়া রাহুল ৫০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানে মাঠ ছেড়েছেন। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি আগামী ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে হ্যামিল্টনে।