বিশ্বের এক নম্বর দলের সঙ্গে খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাই এ সিরিজকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য প্রাক সিরিজ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছিল তারা। ব্রায়ান লারা ও রামনরেশ সারওয়ান সেখানে বর্তমান খেলোয়াড়দের ভারতের বিপক্ষে জেতার উপায় বাতলে দিয়েছেন।
লারা কিংবা সারওয়ানরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পড়তি সময়ের সাক্ষী। তবু নিজেদের মাঠে ভয়ংকর উঠতে পারত তাঁদের দল। বর্তমান উইন্ডিজ দল সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সে ক্ষমতা রাখলেও টেস্টে তাদের পারফরম্যান্সে খামতি রয়ে যায়। তবে সারওয়ানের ধারণা দল হিসেবে খেললে ভারতকে হারাতে পারবেন হোল্ডাররা, ‘আমরা সবাই মিলে যদি ভালো খেলতে পারি তবে ভারতকে হারানোর সুযোগ আছে। আমাদের প্রতিভা আছে কিন্তু এটা হলো একত্র হয়ে খেলার ব্যাপার। আশা করি, আমরা দল হয়ে খেলতে পারব। দিনের শেষে যদি দল হয়ে উঠতে পারি, আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে।’
অ্যান্টিগাতে আজ শুরু হতে যাচ্ছে দুই ম্যাচের সিরিজ। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচদের মতো ফাস্ট বোলারদের ব্যবহার করে ভারতীয় লাইন আপের পরীক্ষা নিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সারওয়ানও ইঙ্গিত দিলেন তেমন কিছুর, ‘অ্যান্টিগাতে দ্রুত গতির উইকেটই চায় সবাই। যেমন উইকেটই হোক, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন ভালো খেলতে পারি। অবশ্যই খেলোয়াড়দের নানা পরিকল্পনা থাকবে, এর ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কাজে লাগাতে পারলেই জেতার খুব ভালো সম্ভাবনা থাকবে।’
সিরিজের আগে লারা ও সারওয়ানের অন্তর্ভুক্তি বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। নিয়মিত কোচদের বাইরে সাবেক দুই খেলোয়াড় কী শেখাচ্ছেন সেটা নিয়ে আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। সারওয়ান জানালেন খেলোয়াড়দের স্কিল বাড়ানো নয়, মানসিকভাবে দৃঢ় করায় মন দিয়েছেন তাঁরা, ‘এটা খুব ভালো ছিল। আমাদের সঙ্গে ব্রায়ান ছিল। তিনি যেভাবে ওদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এত সহজ করে বলেছেন যে সবাই তাঁকে বুঝতে পেরেছে। প্রাক সিরিজে সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমরা মানদিক দিকটা নিয়ে কাজ করেছি। আমরা কাউকে বদলাতে চাইনি, শুধু ঠান্ডা মাথায় ভাবার সুযোগ দিয়েছি। আশা করি ওরা সেটা ম্যাচে করে দেখাতে পারবে। উইকেটে ধৈর্য ধরার ব্যাপারেই গুরুত্ব দিয়েছে ব্রায়ান।’
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচেও জয় পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টে সে ধারা বদলাতে হলে সারওয়ানদের শেখানো মন্ত্র ছাড়া অবশ্য উপায়ও নেই!