ব্রায়ান লারা
ব্রায়ান লারা

ভারতকে দ্বিতীয় ঘর বানিয়েছেন লারা

আইপিএল ঠিক কী কারণে এতটা জাঁকজমকপূর্ণ? কেন এই টুর্নামেন্টকে বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বলা হয়? প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু বিষয়বস্তু তুলে ধরা যায়। তবে বিষয়বস্তুর সেই তালিকার ওপর দিকেই থাকবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের মেলবন্ধনের বিষয়টা, যা আইপিএল অন্যান্য যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের তুলনায় অনেক সফলভাবে করে থাকে বছরের পর বছর। আর সেটা শুধু মাঠের ভেতরেই নয়, মাঠের বাইরেও।

মাঠের মধ্যে বৈশ্বিক তারকাদের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটাররা যেমন খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, মাঠের বাইরেও তারার হাট বসিয়ে রেখেছে আইপিএল। ধারাভাষ্যকার কিংবা ক্রীড়াবিশ্লেষক প্যানেলটার কথাই চিন্তা করুন। আইপিএলের ম্যাচগুলো বিশ্লেষণ করার জন্য আইপিএল এনেছে উইন্ডিজ কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে। সঙ্গে আছেন ব্রেট লি, গ্রায়েম সোয়ান, স্কট স্টাইরিসের মতো সাবেক জনপ্রিয় বেশ কিছু ক্রিকেটারও। যে লারা ক্রিকেট ছাড়ার পর অন্য কোনো ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে তেমন যুক্ত থাকেননি, সেই লারার মনেও আইপিএল দোলা দিয়েছে গত দুই মৌসুম ধরে।

লারার মনেও আইপিএল দোলা দিয়েছে গত দুই মৌসুম ধরে।

লারা এখানে ব্যাটসম্যান-বোলারদের খুঁত ধরেন, ক্রিকেটের কৌশলগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন, নিজের জ্ঞানের একটা অংশ পিপাসিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বিলিয়ে দেন। সেই লারাই সেদিন স্টার স্পোর্টসকে একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠেছে ভারতের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা।

প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের ঠিক কোন বিষয়টা ভালো লাগে তাঁর কাছে? উত্তরে ভারতের প্রতি তাঁর আবেগের ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন লারা। তাঁর কাছে ত্রিনিদাদের পরেই ভারতের অবস্থান, অনেকটা ঘরবাড়ির মতোই মনে হয় ভারতকে, ‘ভারত আমার দ্বিতীয় ঘর। আমি ভারতে প্রথম এসেছিলাম সেই ১৪ বছর বয়সে একটা স্কুল টুর্নামেন্টে খেলার জন্য। সেই তখন থেকে আমি এ জায়গার প্রেমে পড়ে গেছি। এখানে আমার অনেক ভালো বন্ধু আছে। গোটা দেশটাই অনেক সুন্দর।’

ভারতের ক্রিকেটপাগল জনগোষ্ঠীও লারার পছন্দের অন্যতম কারণ, ‘প্রতিটি দেশের মতো এ দেশেরও ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে, কিন্তু আমি ইতিবাচক দিকটাই গ্রহণ করতে পছন্দ করি। আর এ দেশ ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসে, তাই আমার থাকার কাজটাও সহজ হয়ে যায়। আমি যখন ভারতে থাকি, তখন নিজেকে খুব কৃতজ্ঞ মনে হয়।’