বড় ছক্কা মারতে কে না ভালোবাসে! বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে সীমানা পার হতে দেখার মজাই আলাদা। মাঠ ও গ্যালারি পেরিয়ে গেলে তো কথাই নেই। তবে এমন ছক্কা যে সব সময় ভালো লাগে তা নয়। কেভিন ও’ব্রায়েনকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি হয়তো বলবেন বড় ছক্কা মারবেন? আগে নিজের গাড়িটা নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
ঘটনাটা বেশ মজার। তবে আয়ারল্যান্ডের এ ব্যাটসম্যানের জন্য তা নয়। ডাবলিনে কাল ঘরোয়া ম্যাচে লেনিস্টার লাইটনিংয়ের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার। নর্থ-ওয়েস্ট ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩৭ বলে ৮২ রান করেন কেভিন। পেমব্রোক ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে ৮টি ছক্কা মারেন তিনি। এর মধ্যে একটি ছক্কা সীমানা-মাঠ পেরিয়ে আছড়ে পড়ে গাড়ি রাখার স্ট্যান্ডে। কেভিনের কপাল খারাপ, বলটা যে গাড়ির পেছনের উইন্ডশিল্ডের ওপর আছড়ে পড়েছে সেটা তাঁর-ই ছিল!
কেভিনের টয়োটা গাড়ির পেছনের কাচ ঝুর ঝুর করে ভেঙে পড়েছে। ম্যাচ শেষে গাড়ি নিয়ে সোজা টয়োটার সারাইখানায় চলে যান কেভিন। টয়োটা লং মাইল নামে প্রতিষ্ঠানটি টুইট করে কেভিনকে সান্ত্বনা দিয়েছে, ‘লেনিস্টারের হয়ে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সের পর আমাদের পণ্য দূত সোজা এখানে চলে আসেন। চিন্তা করো না কেভিন, আমরা এটা একদম নতুনের মতো ঠিক করে দেব।’
আইরিশ এ ব্যাটসম্যানের মারমুখী ইনিংস খেলার অভ্যাস নতুন কিছু না। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের জয়ে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কেভিন। গত মাসেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা ক্রিজে থেকেই এনে দিয়েছিলেন তিনি। লেনিস্টারের হয়ে কাল নিজের ইনিংসে দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারার পর ধীরে ধীরে নর্থ-ওয়েস্টের ওপর চড়ে বসেন কেভিন। ডি/এল নিয়মে ম্যাচে ২৪ রানের জয় পায় লেনিস্টার।