দ্বিতীয় দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। উল্টো কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম দিনের স্কোরের সঙ্গে আরও ৪৩ রান যোগ করে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মেহেদী হাসান মিরাজের সুবাদে অবশেষে সফরকারীদের ধাক্কা দিতে পারল বাংলাদেশ। ৯০ রান করা এনক্রুমা বোনারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মিরাজ। পানি পানের বিরতি পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে একটু হলেও এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শামুক গতিতে রান তুললেও মিরপুরের উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ২২৩ রান তুলে ফেলা দলকে সুবিধাজনক অবস্থায় এনে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সেটা মানতে চায়নি। স্বাগতিক দলের দাবি, ম্যাচ কাল সমতাতেই ছিল।
ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন দিনের সফলতম বোলার আবু জায়েদ। আর সেটা হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০০-এর মধ্যে গুটিয়ে দিতে হবে। আজ দ্বিতীয় দিনের সকালে সে দায়িত্ব ছিল জায়েদ ও তাইজুল ইসলামের। প্রথম দিনে এ দুজনই পেয়েছিলেন দুটি করে উইকেট।
প্রথম আধঘণ্টা শেষেও এ দুজন দলের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি। অস্টম ওভারেই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনা হয়। মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম বলেই সম্ভাবনা জেগেছিল। জশুয়া দা সিলভা পরাস্ত হলেও বল ব্যাটের স্পর্শ নেয়নি। ওই ওভারেই বলের ঘূর্ণি দেখিয়েছেন মিরাজ।
পরের ওভারেই অন্য প্রান্তে আসেন নাঈম। তাঁর প্রথম বলটাই দারুণ বাঁক নিয়েছিল। কিন্তু ভুল লাইন ও লেংথের কারণে সে বলে উল্টো চার খেতে বসেছিলেন নাঈম। এনক্রুমা বোনার ঠিকমতো খেলতে পারেননি বলেই বেঁচে গিয়েছেন নাঈম। পঞ্চম বলে স্পিনে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করলেন বটে কিন্তু উইকেটরক্ষক লিটন দাসও বোকা বনলেন। বাইয়ে চার রান পেয়ে গেল উইন্ডিজ।
গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭০ থেকে ৩০০–এর মধ্যে অলআউট করতেই হবে বলে জানিয়েছিলেন জায়েদ। কিন্তু দিনের প্রথম দশ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে উইন্ডিজের ৪১ রান তোলায় সেটাকে দূরকল্পনা বলেই বোধ করাল।
দিনের প্রথম সুযোগের জন্ম দেওয়া মিরাজই বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসকে টেনে নেওয়া বোনারকে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন। অভিষেক টেস্টে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা বোনার এবার ১০ রানের জন্য হতাশায় ডুবলেন। ২৬৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।